কোনো গ্রামে হয়তো ছোট বেলায় দুই বন্ধু। একজন লিখাপড়া করে, শহরে গিয়ে, সেখান থেকে বিদেশে গিয়ে এখন গুগুলে চাকরি করে।
অন্য জন দেশেই থেকে বড় হয়েছে। মাদ্রাসায় পড়ায়।
বহু বছর গেলো। দুজনই বৃদ্ধ। রিটায়ার্ড। বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে। চোখে এখন আর অত ভালো দেখে না।
কে দ্বিনের জন্য বেশি খিদমত করলো?
কার আখিরাতের সঞ্চয় বেশি?
কারন এর পরের গন্তব্য দুজনেরই আখিরাতের দিকে।
যার তাকওয়া বেশি, আল্লাহকে ভয় করেছে।
যে আল্লাহ তায়ালার বেশি ইবাদত করতে পেরেছে।
গ্রামে যে রয়ে গেলো তার অন্তর যদি পরিষ্কার থাকে। অন্য বন্ধুর প্রতি হিংসা না থাকে তবে সে সফল।
যে বড় চাকরি করলো তার অন্তরে যদি অহংকার না থাকে। অন্যদের যদি তুচ্ছ মনে করে না থাকে তবে সেও সফল।
দুই বন্ধু। বিশাল পার্থক্য। কিন্তু চক্ষু যখন ক্ষিন হয়ে আসে তখন কেমন যেন আবার দুই জন সমান হয়ে যায়।
"দোস্ত আছিস?"
"হ্যা আছি।"
"কতদিন পরে দেখা। চল এর পর একসাথে রওনা দেই।"
পেছনে ফিরে তাকাই। দুনিয়াতে কে সুখি ছিলো?
যে গ্রামে ছিলো সে দুঃখে ছিলো না। কষ্টে ছিলো না।
শহরে যে ছিলো সেও সারা জীবন আনন্দে কাটায় নি।
তবে সাকসেস কি?
যে অবস্থায় আল্লাহ তায়ালা রেখেছেন ঐ অবস্থায় উনার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা। সবকিছুর পরিকল্পনা উনার কাছে আছে।
সবাই উনার দিকে ফিরছি।