"আল্লাহ ওয়ালার ধর্য্য"
এক এলাকায় এক আল্লাহ ওয়ালা ছিলেন।
ইসমে আজম জানতেন।
এলাকার এক "নবিন" উনাকে ধর্না দিতে থাকেন "আমাকে ইসমে আজম শিখান, প্লিজ প্লিজ প্লিজ।"
উনি শিখান না।
পিড়া-পিড়ির মাঝে একদিন ঐ আল্লাহ ওয়ালা বলেন, ইসমে আজম শিখতে চাইলে তুমি জঙ্গলের ঐ জায়গায় যাও। নবিন সেখানে যায়। দেখে এক বৃদ্ধ লোক গাধার পিঠে লাকড়ি নিয়ে যাচ্ছে। পথে এক সিপাহি বৃদ্ধকে একা পেয়ে বিনা কারনে ধম ধম করে পিটিয়ে আহত করে তার মাল নিয়ে চলে যায়।
নবিন ফিরে আসে। কি দেখেছে বলে। এর পর বলে :
"হুজুর আপনাকে এত করে বলেছিলাম আমাকে ইসমে আজম শিখাতে। শেখালেন না। যদি শিখাতেন তবে আমি ইসমে আজম পড়ে ঐ সিপাহিকে ধ্বংশ করে বৃদ্ধকে জুলুম থেকে বাচিয়ে দিতাম।"
আল্লাহ ওয়ালা বলেন :
"সেখানে যেই বৃদ্ধকে দেখেছিলে উনি আরেকজন আল্লাহ ওয়ালা। উনি নিজেও ইসমে আজম জানেন। আমি নিজে ইসমে আজম শিখেছি উনার কাছ থেকে।"
শিক্ষা? ইসমে আজম পড়ে ঐ সিপাহিকে ধ্বংশ করার মাঝে যদি ভালো কিছু থাকতো তবে ঐ বৃদ্ধ সেটা নিজে করতে পারতেন। নবিনের সাহায্যের দরকার ছিলো না।
কিন্তু ঐ বৃদ্ধ আরো অনেক কিছু জানেন। জানেন আল্লাহ তায়ালার প্রতিটা কাজের পেছনে একটা কারন আছে। কারনগুলো আমাদের থেকে অনেক ভালো বুঝেন। আপদে ধর্য্য ধরতে পারেন।
আর নিজের জন্য প্রতিশোধ নেন না।
এটা পীরদের বৈশিষ্ঠ্য।
যেটা আমি এ যুগের তাসাউফ পন্থিদের গালাগালির মাঝে পাই না।
নিজের মাঝেও না।
#hTasauf
- Comments:
- ফাজায়েলে সাদাকাত থেকে গল্পটা।