রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সুপারিশ, ইলমুল গাইবের ব্যপারে।
১
এগুলোর উপর কোরআন শরিফে যে আয়াত সমুহ আছে "কেউ শাফায়াত করতে পারবে না" -- এর পর "ইল্লা/বাদে" দিয়ে এক্সেপশন দেয়া আছে : যাকে আল্লাহ তায়ালা চান সে ছাড়া। আয়াতুল কুরসি, সুরা নজম দ্রষ্টব্য।
রাসুলুল্লাল্লাহ ﷺ যে শাফায়াত করবেন এটা প্রমানিত। সম্ভবতঃ এ নিয়ে বিতর্ক নেই।
ইলমুল গাইবের ক্ষেত্রেও একই। উনি নবুয়ত পেয়ে যা কিছু বলেছেন সবই ইলমুল গায়েব। আখিরাতের কোনো কিছু আমরা দেখি নি। আর "আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ গায়েবের ইলম জানেন না", এই কথা যেমন আয়াতে বলা আছে। তেমনি তার পরে এক্সেপশন দেয়া আছে "যাকে আল্লাহ তায়ালা জানান উনি ছাড়া"। সুরা জীন দ্রষ্টব্য।
২
কিন্তু তর্ক এসব ব্যপারে হয় না। তর্ক হয় এগুলোকে ঠেলে যখন কেউ কোনো এক্সট্রিম প্রান্তে নিয়ে যায় তখন। যেগুলো স্বাভাবিক ভাবে কোরআন শরিফ পড়লে আমরা বুঝি না। কিন্তু কেউ দাবি নিয়ে আসলো, "<এর> <এর> ব্যখ্যা এই! যে এই <এক্সট্রিমটা> অস্বিকার করলো সে আয়াতকে অস্বিকার করলো। তাই সে কাফের।"
তখন দেখতে হয় তফসির। ১৯০০ সালের আগের তফসিরগুলোতে এই কথা বলা আছে কিনা। যদি না থাকে তবে নেই। নেই মানে "জায়গাটা খালি", তাই সেই শূন্য জায়গা তার কথা দ্বারা ভর্তি করতে হবে -- এমন না।
৩
আল্লাহ তায়ালা আমাদের হক পথে রাখুন।