ছুন্নি হবার পেছনে আমার সবচেয়ে বড় বাধা ছিলো সুরা কাহাফের শেষ আয়াত।
মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদি সাহেবের লেকচার শুনছিলাম ইউটুবে। উনি ছু্ন্নি পন্থি। গত মাসে আমাদের এলাকায় মাহফিল করে গিয়েছেন। শুনতে পারি নি। কিন্তু এখন দেখলাম সেই ওয়াজ ইউটুবে চলে এসেছে।
উনার কথা থেকে শেষে উনার বইয়ে। নাম "নূরে মুজাস্সাম"। সবকিছু পড়ে কনভিন্সড। কিন্তু বাধা ঐ শেষ আয়াত। এটা সমাধান না হলে ছুন্নিরাও আমাকে ছুন্নি হিসাবে মানবে না। আর আমিও তাদের চোখে কাফের হিসাবে রয়ে যাবো।
উনার ব্যখ্যা দেখলাম। এটা আছে ২০০ পৃষ্ঠার বইয়ের শেষ পৃষ্ঠার আগে। উনি বলছেন যদিও এই আয়াতে বলা হচ্ছে "বাশারুম মিথলুকুম" কিন্তু হাদিসে আছে "ইন্নি লাছতু মিথলাকুম" আমি তোমাদের মতো না। রাসুলুল্লাহ ﷺ সেহরি ইফতার কিছু না খেয়ে দিনের পর দিন টানা রোজা রাখতেন সে ব্যপারে।
শায়েখ বলছেন :
১। এই হাদিস দ্বারা ঐ আয়াত মনসুখ হয়ে যায়। কারন হাদিস দ্বারা আয়াত মনসুখ করার বিধান আছে।
২। এর পরও কেউ 'মিথলাকুম' বললে হাদিস এনকার-হেয় করার কারনে সে কাফের গন্য হবে।
হুম। এখন পরের প্রশ্ন হলো ১৯০০ সালের আগ পর্যন্ত অধিকাংশ তফসিরকারী-ফিকাহবিদগন কি এই হাদিস দিয়ে ঐ আয়াত মনসুখ করেছেন নাকি করেন নি?
Feeling like : এখানেও আমি ব্যর্থ। হয়তো সত্যিকার অর্থে দেখার আর কিছু নেই। এবং ভবিষ্যতে যদি নতুন কিছু না পাই তবে আরেকটা গ্রুপের কাছে আমি কাফের হিসাবে থাকবো। হয়তো।
আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করুন।
- Comments:
- ^ হাদিস দিয়েই সম্ভবতঃ কোরআন মানসুখ করা হয়। এটা হয়তো ঠিক আছে। আলেমরা বলতে পারবে। জানা নেই।
- ^ indeed. সঠিকটা বাছাই করার চেষ্টা করছি।
- ^ আছে। কিন্তু শাখা প্রশাখা নিয়ে তর্ক করা অর্থহীন। সবচেয়ে বড় বাধা এখন উপরের আয়াত।