Post# 1543686130

1-Dec-2018 11:42 pm


লিখছি : "পক্ষে"। যেহেতু সবাই বিপক্ষে।


প্রথমে আবেগের কথাগুলো :

= "মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর আক্রমন হয়েছে।"
ময়দানে মাদ্রাসার কোনো ছাত্র নেই দাবি করা হচ্ছিলো ময়দানের পক্ষ থেকে।

= "উস্তাদকে আহত করেছে"
গন্ডোগলের মাঠে উস্তাদ কি করছিলো? সেটা প্রশ্ন।

যে কোনো যুদ্ধে পরাজয়ের সম্ভাবনা ৫০%। এটা আমরা ভুলে যাই। মনে করি "আচ্ছা মতো পিটিয়ে আসবো।" পরাজিত হলে কি হবে, সেটা মাথায় না রেখে।

আর এক পক্ষে মাদ্রাসার ছাত্র দাড় করিয়ে দিয়ে বলতে পারেন না, তাদেরকে কেন মারা হলো?


"কিন্তু হক আর বাতেলকে সমান স্কেলে মাপবেন?"

সা'দ পন্থিদের চোখে এ দেশের উলামাদের অধিকাংশ পথভ্রষ্ট। টাকার জন্য উলামারা এমন সব কাজে লিপ্ত যেগুলো দ্বিনী শিক্ষার বিপরিত। দ্বিন বিক্রির মতো। দিনে দিনে সমস্যাটা বেড়ে এখন সীমার বাইরে। এবং সা'দ সাহেবকে আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেন এই অবস্থায় অনেকটা "মুজাদ্দেদ" হিসাবে।

তাদের চোখে সা'দ সাহেব হক। কারন উলামাদের পথভ্রষ্টতাগুলো স্পষ্ট।


বলা হচ্ছিলো তবলিগের দুই গ্রুপই পাশাপাশি মেহনত করবে।

কিন্তু স্পষ্টতই এটা হচ্ছে না। বুঝা উচিৎ দুই পক্ষই অন্য পক্ষকে নিঃশেষ করার জন্য মরিয়া হয়ে যাবে। এর কোনো সমাধান নেই।

যেমন, এখন ময়দানে দুই পক্ষই জোড় করতে পারতো ভিন্ন সপ্তাহে। কিন্তু এক পক্ষের টার্গেট ছিলো অপর পক্ষকে নিঃশেষ করে দেয়া। যার একটা পার্ট ছিলো ইজতেমা করতে না দেয়া।

এটা চলবে। দুই গ্রুপ একসাথে তবলিগ করবে। এটা হয় না।


সাইড ইফেক্ট?

সত্যিকারে নতুন কেউ এখন আর তবলিগে আসছে না।
সামনে বিশ্ব ইজতেমা হবে, এটাও আর মনে হয় না।
সংঘর্ষ বাড়তে থাকলে দুই পক্ষের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে, বা করে দেয়া হবে।


শেষে,

তবলিগের সাথে দেশের পরিস্থিতির একটা সম্পর্ক আছে। খারাপ হলে দুটো একসাথে হয়।

১৯৯৩ - তবলিগের ভেতরে মুরুব্বিদের মাঝে দ্বন্ধ আরম্ভ। দেশেও তত্বাবধায়ক নিয়ে উত্তাল আরম্ভ।

২০১৩ - তবলিগে মুশফিক স্যারের সংঘর্ষ। অন্যদিকে শাহবাগ-মতিঝিল-গাড়িতে আগুন।

২০১৮ - Nothing yet.

    Comments:
  • ^ বিপক্ষ ওয়ালার যদি বুঝে কি লিখছি। তবে যারা এখন বুঝছে না তারা বুঝছে না কেন?
  • ^ কিন্তু বিপক্ষ ওয়ালারা বুঝেই লিখতো। সেটা আমি দেখেছি।
  • ^ কিন্তু এট লিষ্ট আপনি বুঝেন কি বলছি। আমার সাথে এগ্রি করেন বা না করেন।

1-Dec-2018 11:42 pm

Published
1-Dec-2018