মোরাকাবা,
১
বসে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির কথা চিন্তা করা। এই ১৯০০ সাল পর্যন্ত মানুষ এই গ্যলাক্সির বাইরে কিছু আছে বলে জানতো না। এখন আমরা এই সৃষ্টির বিশালত্বের কথা জানি। জানি এই রকম গ্যলাক্সি আর কত কোটি কোটি আছে। মহাকাশের বিস্তার কতটুকু।
এত সব জেনে বুঝে উপলব্ধি করে আল্লাহু আকবার বলা দ্বারা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অনেক বেশি পাওয়া যায়।
২
সৃষ্টির বৈচিত্র চিন্তা করা। বৈচিত্র মানে পার্থক্য। সব একরম না। কম্পিউটার মডেলিং করে এই দুনিয়ার মত গোলক তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু সেটা হবে হোমোজিনিয়াস। কোনো বৈচিত্র নেই। এতে কিছু বৈচিত্র আনতেও বহু বহু পরিশ্রম করতে হবে।
এগুলো আল্লাহ তায়ালা করেছেন। কোনো মডেল ছাড়াই। এই বৈচিত্রের কথা চিন্তা করে সুবহান্নাহ পড়া দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য অনেক বেশি পাওয়া যায়।
৩
আল্লাহ তায়ালা যা কিছু দিয়েছেন সেগুলো চিন্তা করা। এটা বুঝা যায় পাশের জনের দিকে তাকালে যাকে আল্লাহ তায়ালা অন্য কিছু বেশি দিয়েছেন, একটা কিছু কম দিয়েছেন।
আমার জন্ম থেকে এই পর্যন্ত প্রতিটা নিয়ামত। প্রতিটা বিপদে সাহায্য। এই ঈমান। উনার সম্পর্কে জ্ঞান। না জানালে কিছু জানতাম না। মৃত্যুর পরের জীবন দেখে হতবাগ হয়ে যেতাম।
এগুলো চিন্তা করে পড়া আলহামদুলিল্লাহ।
এই চিন্তা করা।
- Comments:
- ^ মানে ঢুকাটা যত সহজ, বেরিয়ে আসাটা তার থেকে অনেক কঠিন। Proven.