প্রতিটা তর্কের উদ্দ্যেশ্যে হয় হককে প্রতিষ্ঠিত করা।
কিন্তু তর্ক করাকে প্রচন্ড ভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
তবে হক প্রতিষ্ঠিত হবে কি করে?
১
বস্তুতঃ না-হককে প্রমান করার জন্য যদি আমাকে তর্কই করতে হয় তবে ঐ না-হকটা এত বেশি খারাপ না, যতটা আমি মনে করছি। সত্যিকারে না-হক প্রমান করার জন্য তর্ক লাগে না।
সমস্যাটা আমার মাঝে। তার মাঝে না।
২
সুরা বাকার পড়ছিলাম। খৃষ্টানরা বিপথগামি হলো কেন? আল্লাহ তায়ালা বলছেন স্পষ্ট কিতাব আসার পরে তারা নিজেদের মাঝে তর্কে লিপ্ত হয়েছিলো তাই।
হাদিস : রাসুলুল্লাহ ﷺ তর্ক করতে দেখে নিষেধ করলেন, রাগ করলেন বললেন তোমাদের আগের উম্মাহ ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিলো এই কারনে।
কোরআনের আর হাদিসে একই কথা রিপিট করা হলো।
৩
"তর্ক না করলে বাতেল জিতে যাবে না? যারা জানে না তারা মিথ্যাকে সত্য বলে মনে করবে না?"
তর্ক না করেও সত্যকে জানিয়ে দেয়া যায়। অল্প কথায়। তর্ক করার অর্থ হলো নিজের মতকে অপ্রয়োজনে push করতে থাকা।
৪
"তার ভুল কথার মাঝে চুপ থাকবো?"
কোরআন নিয়ে তর্কে মু'মিন হেরে যায়। মুনাফিক জিতে যায়। হেরে মু'মিন থাকা ভালো। জিতে মুনাফিক হবার আশংকা থেকে।