Post# 1537085346

16-Sep-2018 2:09 pm



"দল" আর "কাজ" - এর মাঝে পার্থক্য হলো decentralization.

রাস্তা থেকে ক্ষতিকর জিনিস সরানো এটা "কাজ"।
"দল" হবে যখন তারা সব কিছু ঢাকার সেন্ট্রাল কমান্ডের হুকুম মতো করবে।

তবলিগের কাজটা ৩০ বছর আগে অনেক সেন্ট্রালাইজড ছিলো। এখন অনেক ডিসেন্ট্রালাইজড হয়ে গিয়েছে। তাতে ভালো হয়েছে নাকি খারাপ?

দল যখন অনেক ভারি হয়ে যায় তখন ডিসেন্ট্রালাইজেশনের দরকার আছে। নয়তো স্থবিরতা দেখা যাবে। অস্থিরতা।


কম্পানি বড় হয়ে গেলে স্টার্টআপে যে সিইও থাকে সে আর চালাতে পারে না। কারন দুটোর কালচার ভিন্ন। তবলিগের লক্ষ লোকের সমাবেশে পুলিশ লাগে না। সরকারের এক এক মন্ত্রীর জন্য পুলিশের পাহারার সাইজ দেখে হাসাহাসি করতাম।

যতক্ষন না তবলিগের কাজটা এত বড় হয়ে যায়, যে কাকরাইলের মসজিদের সামনে পুলিশ পাহারা ছাড়া আর চলে না।

আমার বুঝা উচিৎ ছিলো সরকার এর থেকে অনেক বড়।


"ঐ দিন কি হবে যখন উলামা আর আরবরা তবলিগের কাজ বুঝে নিবে?"

গ্রামের হেডমাষ্টার স্কুল চালু করেছিলেন। খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্ট করে। সাকসেস। এখন স্কুল অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। উনাকে সরিয়ে নতুন হেডমাষ্টার নিয়োগ করা হবে। আরো এডুকেটেড।

সমস্যা : উনি যেতে চাচ্ছেন না। এটা আন্ডারস্টেন্ডেব্যল। কিন্তু এর সমাধান কি?


অতি আবেগ দিয়ে মানুষ যা বলে এর অধিকাংশই পরবর্তিতে ভুল প্রমানিত হয়। কিন্তু অতি আবেগের কথাগুলোই ভাইরাল হয়। মানুষের মুখে মুখে রটে। মানুষ শুনতে চায়।

যে লোক সবসময় অতি আবেগের কথা বলতে থাকে? সে কর্পোরেট লেডারে উপরে উঠতে থাকে। সে নেতা। তার মত কথা আর কেউ বলতে পারে না।

দ্বিনের ক্ষেত্রে তাকে বলা হবে insightful. "এত উচু তবকার কথা বলেন যে সাধারন মানুষ শুনলে জেহেন বিগড়ে যাবে।"

আমি দেখি এর অর্থ : উনি দলিলের বাইরে কথা বলেন। প্লাস এর সাথে "খোদার কসম" লাগিয়ে।


যা কিছু হয় আল্লাহর ইচ্ছায় হয়।

16-Sep-2018 2:09 pm

Published
16-Sep-2018