"এরপরও দারোয়ানের দরকার আছে। বাড়ির সিকিউরিটির ব্যাপার, কে আসছে, কে যাচ্ছে, গেইটের সামনে কে আড্ডা দিচ্ছে, কোন ভাড়াটিয়া কীরকম।"
১
সিকিউরিটির জন্য একসেস কন্ট্রোল ডোর। কার্ড-ফিংগারপ্রিন্ট দিয়ে ঢুকবে। অতিথি এসে কলিং বেল চাপলে ফ্লেটে পিবিএক্স ফোন বাজবে। ফ্লেট কর্তা কথা বলে সুবিধা মনে করলে ফোনের আরেকটা বাটন চাপ দিয়ে নিচের ডোর লক খুলে দেবে।
এখানে গার্ডের নামে মিডলম্যন দরকার নেই।
২
"কে আসছে কে যাচ্ছে, এটাতে চোখ রাখার জন্য?"
মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যমেরা। রেকর্ড হয়ে থাকবে।
"কিন্তু ক্যমেরা দেখে কি বুঝা যায়?"
ক্যমেরার মুভমেন্টগুলো দিয়ে গ্রাফ তৈরি করতে হবে। এক নজর দেখলেই যেন বুঝা যায় সারা দিনে কে কোথা থেকে কোথায় গিয়েছে। গ্রাফের কোনো পয়েন্টে ক্লিক করলে ঐ সময়ের ফুটিং প্লেব্যক করে দেখাবে।
"কিন্তু চোর অসলে ধরবে কে?"
রাতে সেনসিটিভ জায়গায় যদি চোর আসে তবে লাইট সব অন হয়ে যাবে। স্পিকারে আগন্তুককে সতর্ক করবে। এর পরও সরে না গেলে লাল আলোর সাইরেন এলার্ম বাজবে।
৩
অভারঅল আপনার গার্ড আপনার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে না। যে ভাড়াটিয়া তাকে মাসে ২০০ টাকা দেবে তার গোলাম হয়ে থাকবে। আপনি যদিও ১২ হাজার টাকা বেতন দেন, এটাকে সে ধরবে "প্রাপ্য", উপরি না। সে কাজ করবে উপরির জন্য। প্রাপ্য এমনি পাবে।
৪
"ইলেক্ট্রনিক্স বাইপাস করা যায়। একজন সত্যিকারে লোক দরকার।"
গার্ডকেও বাইপাস করা যায়। সে কাহিল হয়। ঘুমিয়ে পড়ে। প্রতারকরা কথা বলে তাকে কনভিন্স করে সিকিউরিটি বাইপাস করতে পারে। চোর তাকে কমিশন সাধলে রাতা রাতি সে চোরের পক্ষে কাজ করবে। তাকে তথ্য দিবে কোন ভাড়াটিয়া ঈদে বাড়ি গিয়েছে, ফ্লাট খালি। তার রাগ আছে, অসন্তুষ্টি আছে। রেগে গেলে সে আপনার বিরুদ্ধে কাজ করবে।
ইলেকট্রনিক্স এগুলো বুঝে না।
৫
প্রথমে গার্ড রেখেছিলাম এক সিকিউরিটই কম্পানি থেকে। মাসে ১৮ হাজার টাকা দুইজন। ফলাফল : গ্যরেজ থেকে দুটো সাইকেল চুরি। এর পর এক গার্ডের মোবাইল ফোন নিয়ে পালায়ন। এই সব কিছু দুই মসের মাধ্যে।
এর পর অটোমেশন। খরচ নেমে এসেছে মাসে ১৮শ টাকায়। সিকিউরিটি কভারেজ গার্ডের থেকে ভালো।