একটা পানির মটরে কত গুলো অটোমেশন যোগ করা যায়?
১
- পাইপে একটা কনডাকটর [সোজা কথায়, তার] বসিয়ে ডিটেক্ট করা যায় অন অবস্থায় পানি আসলেই যাচ্ছে কিনা।
- তারের সাথে কারেন্ট সেন্সর লাগিয়ে মনিটর করা যায় এবনরমাল কারেন্ট টানছে কিনা। যদি ফিল্টার ব্লক হয়ে যায় বা খলি মটর ঘুরে তবে কারেন্ট বেশি বা কম হবে।
- এর সাথে একটা ভোল্ট মিটার লাগিয়ে পাওয়ার ফেক্টর মেপে নিশ্চিৎ বুঝা যায় মটর খালি ঘুরছে কিনা।
- একটা thermistor লাগিয়ে এর তাপমাত্রা দেখা যায়। বেশি গরম হয়ে যাচ্ছে কিনা।
- পানির টাংকিতে একটা কেমেরা বসিয়ে মনিটর করা যায় সত্যি পানি উঠছে কিনা। উঠলে মোশন ডিটেক্ট করবে।
- ব্যরোমিটার সেন্সর দিয়ে পানির চাপ দেখে ট্যংকিতে পানির লেভেল মাপা যায়।
২
"এত কিছু দরকার আছে কি?"
আগে একটা ফ্লোট সুইচ দিয়েই মানুষ সব করতো।
এর পর মানুষ দেখে নিচের ট্যংকি যদি খালি হয় তবে মটর খালি ঘুরতে থাকে। আসলো দুটো ফ্লোট সুইচ।
এর পর দেখে টানলেও ওয়াসায় পানি আসে না মটর খালি ঘুরতে থাকে। আসলো ওয়াটার সেন্সর।
তাই মানুষ স্বভাবতঃই লেভেলের উপর লেভেল অটোমেশন করছে। ঠেকায় পড়ে। ফজরের সময় এলাকায় বেরুলে দেখা যায় রাস্তা রাস্তায় পানি ভেসে যাচ্ছে আশে পাশের বাড়ির টাংকি ওভার ফ্লো হয়ে।
৩
"এই সব না করে একজন গার্ড বসিয়ে দিলেই হয়। সে ছাড়বে বন্ধ করবে।"
কিন্তু এর পর দেখতে পারবেন সে মাসে কতবার পানি ওভার ফ্লো করে। কতবার ডাক দিয়ে বলতে হয় "পানি নাই, মটর ছাড়ো"।
তাই মানুষ বসালে এটা আরো এফিসিয়েন্ট হচ্ছে না। এর উপর তার খরচ, বেতন।
৪
"অটোমেশনের খরচ আছে না?"
একটা সেন্সরের দাম এক ফুট একটা পাইপের টুকরা থেকে কম। সেন্সর লাগাতে আমি যেই তার টানছি, সেই তারের দাম ঐ সেন্সর গুলোর থেকে বেশি।
এখানে টেকনিক্যল know how টার দাম বেশি। ইকুইপমেন্টগুলোর না।
৫
"কিন্তু আপনি চলে বা মরে গেলে এগুলো কে চালাবে? সব খুলে পুরানো সিসটেমে ফিরে যেতে হবে।"
হয় তো। কিন্তু এই সবকিছু মিলে হয়তো ১০ হাজার টাকা দাম। একটা লোক রাখলেও তাকে ৫ হাজার টাকা মাসে বেতন দিতে হতো। তাই এর দাম এখনই উঠে যাচ্ছে।
পরে সব খুলে ফেললেও লস নেই।
#HabibAutomation
- Comments:
- ^ না। এখন নিজের বাসায় করছি। বিক্রি করছি না।
- ^ আমি একা করছি না। সংগে একজন ইঞ্জিনিয়ার আছেন। আমি যেটা করতে পারি তা হলো উনাকে ট্রেইন আপ করে দিতে পারি। উনি এগুলো থেকে শিগ্রি নিজের প্রোফেশন তৈরি ফেলতে পারবেন, হয়তো ইনশাল্লাহ।
- ^ না নেই।
- //কিছু কিছু ভাই তাদের স্ত্রীদের ওপরে অসহনীয় মানসিক নির্যাতন চালান//
আনেক স্ত্রী আমাদের দ্বিনী ভাইদের উপর অসহনীয় মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন -- এরকম ঘটনাই এখন বেশি। এর বিরুদ্ধে এখন সোচ্চার হবার সময় এসেছে। নেটে "পুরুষ আধিকার আন্দোলন" খুজে দেখতে পারেন।