Post# 1532327650

23-Jul-2018 12:34 pm


"এই কাজ যে করছেন, কোনো আলেমকে কি জিজ্ঞাসা করে নিয়েছেন? আলেমকে জিজ্ঞাসা না করে করছেন কেন?"


বেশি প্রশ্ন করাটা ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। এটা আমাদের শিখানো হয়েছিলো ক্লাস সিক্সে থাকতেই। সুরা বাকারায় "কালুদউ লানা রাব্বাকা..." ইহুদিরা যখন বার বার মুসা আ: কে জিজ্ঞাসা করছিলো "কোন গরু জবাই করতে হবে সেটা আপনার খোদা থেকে জেনে নিন"

হাদিসে বলা হয়েছে প্রথমে যে কোনো গরু তারা জবাই করলেই হতো। কিন্তু বার বার জিজ্ঞাসা করে তারা নিজেদের উপর শরিয়তের কঠোরতা বাড়িয়ে নিয়েছে। শেষে তাদের সবচেয়ে প্রীয় গরুটা জবাই করতে হয়।

মুসলিমরা যেন ইহুদিদের মত এই ফাদে পড়ে না যায়, তাই তাদের বেশি প্রশ্ন করতে নিষেধ করা হয়েছে। যা কিছু হালাল বা হারাম সেগুলো আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। বাকিগুলোর ব্যপারে স্বাধিনতা আছে। আপনি যেটা ভালো মনে করেন করবেন, অন্যে যেটা ভালো মনে করে সে অন্যটা করবে। আপনারটা তার উপর চাপানোর দরকার নেই।

সাহাবা কিরামগনও রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সামনে বসে থাকতেন। আগে বেড়ে প্রশ্ন করতেন না। অপেক্ষা করতেন কখন মরূভুমির কোনো লোক এসে কিছু প্রশ্ন করবে, উনারা জানতে পারবেন। যা কিছু বলার রাসুলুল্লাহ সা: নিজে থেকে বলতেন।

উনার ﷺ জীবনে সাহাবা কিরামগন হাতে গুনা কিছু প্রশ্ন করেছিলেন। যেগুলোর উত্তর কোরআন শরিফে আছে। "ইয়াসআলুনাকা আন ... কুল ..." ধরনের আয়াত সমুহতে।


এ জন্য ঠেকায় না পড়লে আমি আলেমদের কাছে ছোটখাটো প্রশ্ন নিয়ে যাই না। যা কিছু জরুরী সেগুলো আলেমরা আলরেডি বলে দিয়েছেন বা বলছেন। সেই সব কথা আমার কাছে পৌছছে। যা কিছু বলেন নি, সেগুলোর ব্যপারে উনাদের মত জানাকে আমি জরুরী মনে করি না।

কারন আমি আগে পড়ে প্রশ্ন করে যদি ফতোয়া নিয়ে আসি তবে এর অনুসরন করা আমার জন্য জরুরী হয়ে যাবে। নচেৎ এটা হবে "ফতোয়া মার্কেটিং"। ঐ পর্যন্ত আমি বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসা করতে থাকবো, যতক্ষন না কেউ সেই উত্তর দিচ্ছে যেই উত্তর আমি প্রথমেই শুনতে চেয়েছিলাম।


তাই, "<এই> কাজ যে করছেন, কোনো আলেমকে জিজ্ঞাসা করেছেন?"

না করি নি। বিশাল ঠেকায় না পড়লে আমি আগে বেড়ে আলেমদের কাছে প্রশ্ন নিয়ে যাই না। এবং প্রতিটা জিনিস জিজ্ঞাসা করাটা সোয়াবের কোনো কাজও মনে করি না।

আপনার কি প্রয়োজন সেটা আপনি জিজ্ঞাসা করবেন।

23-Jul-2018 12:34 pm

Published
23-Jul-2018