আলেমদের থেকে শিখা :
১
"এই যে বই পড়ে দ্বিন শিক্ষার পক্ষে বলছেন, শুধু বই পড়ে দেখেছেন কাউকে শুদ্ধ করে ওজু নামাজ শিখতে?"
বেসিক জিনিসগুলো হাতে কলমে শিখতে হয়। কিন্তু এই বেসিক জিনিসগুলো আমি ছোট বেলায় শিখেছি আমার বাপ-মার থেকে যারা কোনো আলেম ছিলেন না।
এখন নতুন কেউ মুসলিম হলেও সে শিখবে তার দ্বিনী ভাই থেকে যে more likely than not কোনো আলেম না।
২
আলেমদের সংগে সম্পর্ক রাখার আরেকটা সাইড ইফেক্ট আছে। আমি যত জনের সংগে সম্পর্ক করতে গিয়েছি সবাই কিছু দিন পর চাদা-ফান্ড বা দানের কাগজ নিয়ে বাসায় হাজির হয়েছে, এবং এর পর নিয়মিত দানের জন্য আসছে। না দিলে বেজার হচ্ছেন। না দিলে সম্পর্ক নষ্ট।
তাই এখন পারত পক্ষে পদস্থ-ক্ষমতাবান আলেমদের আমি এড়িয়ে চলি। আপনি ছাত্র তাই এগুলো আপনি এখনই ফেইস করবেনা না।
এই সমস্যা সাইড স্টেপের সুযোগ নেই।
"উনি হাক্কানি হলে হতো না"
Indeed সেই mythical হাক্কানি।
৩
"বই পড়ে নিজে শিখে কিছুদিন পরে আবার অন্যকে আপনার এই ভ্রান্ত জিনিস শিখাতে যেয়েন না। অন্যদেরকে আলেমের কাছে পাঠাবেন।"
দৈন্দিন জীবনে চলতে প্রতিদিন হাজার প্রশ্ন আসে। "এটা কি করবো?" "ঐটা জায়েজ?" "এটা ঠিক?" এর সবগুলোর উত্তরের জন্য যদি সরাসরি আলেমদের জিজ্ঞাসা করা আরম্ভ করি তবে আমার একার জন্য একজন ডেডিকেটেড আলেম লাগবে।
এক আলেমের পেছনে হাজার জন লাইন ধরবে। একটা অচল অবস্থা তৈরি হবে।
প্লাস আপনার শর্ত মত কেউ আলেম না হলে যেহেতু শিখাতে পারবে না তাই ঐ আলেমের একটা কথা একবার বললে হবে না। প্রত্যেককে আলাদা করে বার বার বলতে হবে। একটা ধাক্কা ধাক্কি চলতে থাকবে।
তাই আপনার এই দাবি প্রেকটিক্যল না।
এবং সম্ভবতঃ আপনি নিজেও এরকম করেন না।
- Comments:
- //আপনি এসব অদ্ভুত সিচুয়েশানে কীভাবে পড়েন বুঝি না// আপনারা এই সব অদ্ভুত সিচুয়েশনে এখনো কি করে পড়েন নাই, সেটা আমার বুঝে আসে না।