তাসাউফের মূল লক্ষ্য হলো :
১। অন্তর পরিষ্কার করা।
২। এর পর আল্লাহর ইবাদতে লেগে যাওয়া।
৩। দুনিয়া বিমুখিতা।
দুনিয়া বিমুখিতা হলো, প্রয়োজনীয় পরিমান দুনিয়ার সামগ্রি হয়ে গেলে এর পর অতিরিক্তের জন্য চেষ্টা না করা।
ইবাদতে লেগে গেলে মানুষের অন্তরে রিয়া, অহংকার, আত্মতুষ্টি অনেক দোষ আসতে থাকে। এগুলো আসার পথ আগেই বন্ধ করা। এটা হলো অন্তর সাফ করা। নচেৎ ইবাদতের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং এর উপকার বা সোয়াব পাওয়া যাবে না। এই অন্তর সাফ থেকে নাম তাসাউফ।
এবং তাসাউফ পন্থিদের ইবাদতের মূল হলো রাতে তাহাজ্জুদ।
"আমি তাসাউফের রাস্তায় এগুতে চাই। কি করতে হবে?"
প্রথম কথা হলো আপনি ছাত্র হলে নিচের কোনোটাই আপনার উপর প্রযোজ্য না। এই পুরো স্টেটাস স্কিপ করে যান। এখানে আপনার জন্য কিছু নেই। কেন নেই সেটাও ব্যখ্যা করছি না।
এর পর যারা আছেন তাদের জন্য শুধু :
প্রথমে অন্তর পরিষ্কার করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ ইবাদতে লাগতে হবে। তাহাজ্জুদ দিয়ে আরম্ভ করেন।
তৃতীয়তঃ দুনিয়ার প্রতি আকর্ষন থেকে মুখ ফিরাতে হবে।
প্রতিটার লিমিট আছে। যেমন "এতটুকু হলে ভালো" "এর বেশি করবেন না" "এর নিচে যেন না নামে" এরকম। যেগুলো এখানে উল্লেখ করলাম না।
"এর উপর কোনো বই আছে?"
আছে। গাজ্জালির বইগুলো দ্রষ্টব্য। এটাই সবচেয়ে পুরানো বই যেটা আমার চোখে পড়েছে। পরবর্তি যুগে আরো অনেক বই লিখা হয়েছে যদিও।