Post# 1527152030

24-May-2018 2:53 pm

হিজরী চতুর্থ শতকে বাগদাদে হাম্বলী মাযহাব বেশ প্রতিপত্তি লাভ করে। শাফেয়ীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। রাস্তা দিয়ে যখন কোনো শাফেয়ী যেত, তার ওপর হাম্বলীরা দুষ্ট অন্ধদের লেলিয়ে দিতো। তারা তাকে ইচ্ছামতো পেটাতো।

দিমাশকের এক হানাফী কাযী (বিচারক) বলতেন, আমি যদি শাসক হতে পারতাম, তবে শাফেয়ীদের কাছ থেকে জিযয়া (অমুসলিম কর) উসূল করতাম!

ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নিশাপুরে হানাফী ও শাফেয়ীদের ভেতরে ব্যাপক কোন্দল শুরু হয়। সে কোন্দলে অগণন লোক নিহত হয়। অসংখ্য মসজিদ ও মাদরাসা পুড়িয়ে দেয়া হয়। শাফেয়ীদের পক্ষে প্রচুর হতাহত হয়। পরবর্তীতে তারা হানাফীদের কাছ থেকে কঠোর প্রতিশোধ নেয়।

ষষ্ঠ শতাব্দীতে বাগদাদে এক শাফেয়ী খতীব ইন্তেকাল করেন। তাকে হাম্বলীদের কবরস্থানে দাফন করতে গেলে হাম্বলীরা বাধা দেয়। বিশাল সংঘাত সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যস্ত খলীফার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

একই শতাব্দীতে ইস্পাহানে শাফেয়ী ও অন্যান্য মাযহাবের ভেতরে সংঘাত শুরু হয়। দীর্ঘ আটদিন হানাহানি চলে। অসংখ্য মুসলমান মুসলমানের হাতে নিহত হয়!

অষ্টম শতাব্দীতে বাগদাদ, দিমাশক ও ইস্পাহানে একই ধরনের মাযহাবী লড়াই হয়। ইস্পাহানে প্রচুর মসজিদ ও মাদরাসা পুড়িয়ে দেয়া হয়। শাফেয়ী ও হাম্বলীদের লড়াই বন্ধ করতে শেষ পর্যন্ত সরকারের হস্তক্ষেপ করতে হয়।

ইয়াকূত হামাভী লেখেন (৭ম শতাব্দী), তাঁর যুগে ইস্পাহানে হানাফী ও শাফেয়ীদের ভেতরে নিরবচ্ছিন্ন লড়াইয়ের কারণে গোটা শহর বিরান হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। অন্যান্য শহরেও এমন হানাহানি চলে। অনেক সময় মাযহাবী পরিচয় লুকানো ছাড়া প্রাণরক্ষাও কঠিন হয়ে পড়তো।
________

আগের যুগের সেই মাজহাবি দ্বন্ধ এখন চলছে মাজহাবি-লামাজহাবি দ্বন্ধ হিসাবে।

আমি কিছু বললাম না, শুধু লাইক কমেন্ট দিয়ে একটিব থাকলাম।
লিংক কমেন্টে

    Comments:
  • https://www.facebook.com/mizan.harun/posts/2152611921634948
  • "লা মাজহাব" একটা নতুন মাজহাব, that denies this identity of theirs.

24-May-2018 2:53 pm

Published
24-May-2018