Post# 1526797910

20-May-2018 12:31 pm



চাদ দেখার ব্যপারে দুইটা পার্ট আছে।

১। হুকুমত কি নিয়মে কি শর্তে কি ভাবে চাদ দেখার ঘোষনা দেবে।
২। সাধারন জনগন কি করবে?

এর মাঝে হুকুমতের কি ভাবে কি করা উচিৎ সেটা নিয়ে তর্ক আছে। কিন্তু আমি তো আর হুকুমত না। আমি সাধারন জনগন। তাই আসি সাধারন জনগনের জন্য কি করনীয় সেই ক্ষেত্রে।

সব ক্ষেত্রেই সাধারন জনগনের জন্য নির্দশ হলো হুকুমত যে নিয়মই অনুসরন করে ঘোষনা দেক না কেন, জনগন তাদের ঘোষনা অনুসরন করবে।

হানাফি মাজহাবে এর সাথে নিয়ম আছে যদি কেউ ব্যক্তিগত ভাবে রমজানের চাদ দেখে কিন্তু হুকুমত-কাজি-সরকার চাদ দেখার ঘোষনা না দেয় তবে সে ব্যক্তিগত ভাবে ঐ দিন রোজা রাখবে। এটা শুধু তার উপর প্রযোজ্য। এমন কি তার পরিবারের জন্যও না।


উপরের লিখায় এই প্রশ্নগুলো কভার করা হয় নি :

"যে দেশে ইসলামি হুকুমত নেই? আমেরিকা বিদেশ? সেখানে?"
"আপনার নিয়মে ভারতে কি করবে? সেখানে তো হিন্দু সরকার?"
"হুকুমতকে আমি কাফের-তাগুত মনে করি এবং মানি না..."
"আমেরিকায় তিনটা সংগঠন। কি করবো?"
"আপনি যা বললেন সেগুলো ইসলামি সরকারের জন্য। কিন্তু এই সেকুলার সরকার ..."

এই চার লাইনের পোষ্টে সব প্রশ্নের জবাব খুজা আমার উদ্যেশ্য না। আর নিয়মগুলো "আমার নিয়ম" না।


ইয়ামুশশক বলে একটা জিনিস আছে। শাবান মাসের ৩০ তারিখ যে দিন চাদ দেখার চেষ্টা হয়। সেদিন যদি রমজান আরম্ভ না হয় তবে "যদি আরম্ভ হয়ে থাকে?" চিন্তা থেকে নফল নিয়তেও রোজা রাখা নিষেধ। হয় রমজান আরম্ভের ঘোষনা হবে এবং সবাই রোজা রাখবে। সেটা না হলে "যদি লাইগা যায়" ধারনা করে কেউ রাখবে না। এই দিনকে বলে ইয়ামুশ-শক। সন্দেহের দিন।

এই বার কাউকে কাউকে বলতে দেখেছি ঐ দিন রোজা রাখলে ভালো হতো "সন্দেহ আছে যেহেতু"। তাদের জ্ঞাতার্থে এটা জানালাম।


এই ব্যপারে ডিটেলস আছে ইসলামি ফিকাহর বইয়ে। ফতোয়ায়ে আলমগিরি দ্রষ্টব্য। কিতাবটার দুটো পাবলিকেশন থেকে বাংলা অনুবাদ আছে। কিনে পড়ে দেখতে পারে। জনগন কি করবে, আর সরকার কি নিয়মে ঘোষনা দেবে -- দুই ব্যপারেই এখানে লিখা আছে।

সময় বদলায়। পরিবেশ বদলায়। এখন মিডিয়া আছে, যেটা ঐ ফিকাহর কিতাব লিখার সময় ছিলো না। কিন্তু হানাফি মাজহাবে এই সব ক্ষেত্রে "কিয়াস" করে। অর্থাৎ : ঐ সময়ে ঐ ক্ষেত্রে যদি এই হুকুম হয় থাকে, তবে বর্তমানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঐটার সাথে মিল রেখে ঐটার বেসিক যুক্তি নিয়ম পদ্ধতি ঠিক রেখে ঐটার মতই একটা রুলিং টানা। এজন্য পুরানো কিতাব পড়তে হয় আগের রুলিং-নিয়ম জানতে। এগুলো obsolete হয়ে যায় না।

"পরিস্থিতি এখন পরিবর্তিত, আগের মতো নেই" তাই আগের সব কিতাব ছুড়ে ফেলে দিয়ে এখন নিজের মন মত নতুন ফতোয়া আবিষ্কার করার সুবর্ন সুযোগ -- এই নিয়ম হানাফিতে নেই। যদিও ফেসবুকে ইয়ংদের একটা বিরাট অংশ এই আইডলজিতে বিশ্বাস করে।


যতটুকু বুঝি।

20-May-2018 12:31 pm

Published
20-May-2018