Post# 1521425475

19-Mar-2018 8:11 am


"... কি করি?" সিরিজ


এটা বুঝতে হবে যে যদি সময় কাছিয়ে আসে তবে সামনের ১০ বছর ধরে শুধু যুদ্ধ চলতে থাকবে। এবং এই যুদ্ধ চলবে মুসলিমদের মাঝে মুসলিমদের। গৃহযুদ্ধ। একদল অন্য দলকে তাকফির করে বা না করে। "খারাপ মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সাহাবা কিরামদের সুন্নাহ" এরকম কিছু দাবি করে।

এবং আমরা যে যুদ্ধগুলো দেখেছি ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে, সামনের যুদ্ধগুলো হবে এর থেকে আরো অনেক বেশি সংখ্যায়। একটা বা দুইটা না। একের পর এক এরকম বহু যুদ্ধ সামনে মোষ্ট লাইকলি আসছে।

এই অবস্থায় বেষ্ট হলো কোনো পক্ষে যোগ না দিয়ে ঘরে বসে থাকা। কিন্তু এটা করতে গেলেও চ্যলেঞ্জ আছে। সেগুলো :


প্রো-যুদ্ধ দলে লোকের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের ৯০% এতে জড়িয়ে যেতে পারে। আমাদের দেশেও অধিকাংশ এই দিকে ঝুকে পড়বে। বিশেষ করে যুবকরা। এটা ঠেকানোর উপায় নেই। প্রফেসাইজড।

এই মুহুর্তে আমাদের দেশে শুধু অনলাইনে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু হাদিসে আছে যে যুদ্ধ করতে চায় না তাকে যুদ্ধে দাড় করিয়ে দেয়া হবে তলোয়ারের ভয় দেখিয়ে। না চাইলেও করতে হবে। এই অবস্থা সামনে আসছে হয়তো।

কাউলু মুখতাসার... কিতাবে পেলাম মাহদির সময়ে উনার আবির্ভাবের আগে উনাকেও "যুদ্ধ না করলে তোমাকে হত্যা করা হবে" বলে যুদ্ধে দাড় করিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু উনি অস্ত্র নিয়ে বেরুলেও কোনো একজন মুসলিমের সামান্য কোনো রক্ত প্রবাহিত করবেন না।


এই ফিতনার দিকে যে তাকাবে সেও ফিতনায় পড়ে যাবে। ফিতনা বলতে এখানে বলা হচ্ছে মুসলিমে-মুসলিমে যুদ্ধ। যদিও কোরআনে ফিতনা বলতে অনেক কিছু বুঝিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। যেমন মাল-আওলাদ এগুলো ফিতনা। কিন্তু দুই ফিতনা ভিন্ন। ওমর রা: থেকে হাদিসে যেমন আছে। এক লোক দোয়া করছিলো হে আল্লাহ আমাকে ফিতনা থেকে বাচান। ওমর রা: বলছিলেন দেখো কোন ফিতনা সেটা খেয়াল করো কিন্তু। তুমি নিশ্চই চাও না যে তোমার মাল আওলাদ কমে যাক।

সুরা বাকারায় যেখানে আছে "ওয়াকাতিলু হুম হাত্তা লা তাকুনু ফিতনাতান..." এটা যখন পড়েছিলাম তখন আমি বুঝেছিলাম কাফেরদের ফিতনা। যেটা তলোয়ার দিয়ে দূর করতে হয়।

আর মুসলিমদের মাঝে মুসলিমদের যুদ্ধকেই মূলতঃ ফিতনা বলা আরম্ভ হয় সাহাবা কিরামদের যুগ থেকে। সব হাদিসে এই সময় যুদ্ধ না করে এড়ানোর জন্য পলানোর কথা আছে। বাসায় বসে থেকে হোক বা পাহাড়ে জঙ্গলে গিয়ে।


কাফেরদের উপরের আয়াত মুসলিমদের উপর প্রয়োগ করা আগের খারেজিদের একটা বৈশিষ্ঠ ছিলো। এগুলো আমাকে উত্তেজিত করে না। আমি পড়ে এসেছি মূল বই থেকে যথেষ্ট। কিন্তু ইয়ংগ ছেলেপেলেরা তাদের বড়ভাইদের লেকচার শুনে যা বুঝেছে সেটা যখন কমেন্টে পোষ্ট করে আমাকে নতুন শিক্ষা দেয়া আরম্ভ করে তখন তাদের সাথে তর্ক অনর্থক মনে করি।


সামনের সময়টা এই ফিতনার। মুসলিমদের সাথে মুসলিমদের। তাই এটা ঠেকানোর কোনো ইচ্ছে আমার নেই। তুমি যা ভালো বুঝো সেই দিকে দৌড়াও। ঐ পক্ষেও বহু লোক লাগবে প্রফেসি ফুলফিল করার জন্য। আমি যা বুঝি সেটা আমি বলেই খালাস।

তোমাকে অনুসরন করতে বলছি না।

19-Mar-2018 8:11 am

Published
19-Mar-2018