Post# 1521295657

17-Mar-2018 8:07 pm


ইবাদত


৮০র দশক। এদেশে ইসলামি আন্দোলনের আরম্ভ।

যদি আপনি বলেন "ইবাদত..." আপনাকে থামিয়ে দিয়ে বলবে "ইবাদত বলতে শুধু নামাজ রোজা বুঝায় না, বরং চাকরি, ব্যবসা..."

এত প্রচার যে একসময় মনে হতে থাকে যেন সবকিছুই ইবাদত। নামজ রোজা ছাড়া।


"মসজিদে বসে বসে আল্লাহ আল্লাহ" করা কি যে ক্ষতিকর তার প্রচার চলতে থাকে মসজিদে মসজিদে।

শেষে রমাজানের শেষ দশ দিনে ইতেকাফ করার মত কেউ নেই। ইমাম সাহেব দাড়িয়ে শুধু আল্লাহ আল্লাহ করার বিরুদ্ধে অনেকক্ষন বলে শেষে বললেন "ইতিকাফে কাউকে পাওয়া নি। কেউ আছেন?" ২৫ তারিকের দিকে একজন রিকশাওয়ালাকে টাকা দিয়ে ইতেকাফে বসায়। এটা ছিলো peak.


আবেদ বলতে যাদের বুঝায় এদের আমি দেখেছিলাম এই সময়টার আগে। ৭৯-৮০ সালের দিকে এদের শেষ কয়েকজনকে। এর পর বিভিন্ন মুভমেন্ট কেন্দ্রিক দলগুলোর বিস্তার লাভ করে। উদ্যেশ্য মানুষ যেন আবেদ না হয়ে দাওয়াহ বা আন্দোলনকারী হয়।


কিছু উক্তি ছিলো যেমন,
"শুধু নামজ-রোজা পড়ে কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না।"
"এই উম্মাহকে আল্লাহ তায়ালা এই উদ্যেশ্যে সৃষ্টি করেন নি।"

আমি পড়তাম "ওয়ামা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লি ইয়াবুদুন।"

তাদের ব্যখ্যা ছিলো ইবাদত বলতে শুধু .... যা উপরে লিখেছি।
আমার মনে হতো নামাজ-রোজাটাই মুখ্য। বাকিগুলো সহায়ক।
তাদের কথা ছিলো বাকিগুলো মুখ্য, নামাজ রোজা সহায়ক।

কিন্তু ইসলামের পাচ স্তম্ভ? সবই তো ইবাদত! তাদের কথা ছিলো ইসলামের ষষ্ট স্তম্ভ হলো তাদের দল যে স্পেসিফ কাজটাকে প্রমোট করছে সেটা, দাওয়া, জিহাদ, শাসন বা আন্দোলন। এবং এটা না হলে নামাজ রোজা কবুল হবে না। কালেমাও অসম্পূর্ন থাকবে।


ইয়ং কেউ ইবাদতে লেগে থাকলে তাকে মনে করা হতো পথহারা। হয়তো সে নতুন নামাজ রোজা আরম্ভ করেছে তাই। শুধু ইবাদতের লাইনে থাকলে সে গোমরাহ হয়ে যাবে। তাকে পথে আনতে হবে।

বড় ভাইরা তাকে জোর করে মসজিদ থেকে বাহির করে আন্দোলনে শরিক করে দিতো।

যেটাকে বলা হতো সত্যিকারের দ্বিন।

#HabibTasauf

17-Mar-2018 8:07 pm

Published
17-Mar-2018