চরমোনাইয়ের সমালোচনা :
১
প্রথম কমন অভিযোগ হলো ভেদে-মারেফতের "আন্দাজ নেই।"
প্রথম কথা : আমি ঘেটে দেখেছি ঘটনা কি। দেখলাম ঐ বইয়ের প্রতিটা ছাপায় তারা টিকায় লিখে দেয় এই ধরনের কথা সাধারন কেউ বললে কুফরি। যদিও সমালোচকদের এই টিকার কথা উল্লেখ করতে কখনো দেখি নি। তারা এমন ভাব করে চরমোনাই যেন এটা লুকানোর চেষ্টা করছে, সমালোচকরা যেন নিজেরাই এটা বের করে এখন মানুষকে সজাগ করছে।
দ্বিতীয়তঃ এটা শিক্ষা মূলক গল্প। প্রশ্ন, "এ থেকে কি শিক্ষা পাচ্ছে?" well সমালোচকরা তাদের হাই ইন্টিলিজেন্ট দিয়ে যত সুক্ষ্ম জিনিস খুজে পাওয়ার চেষ্টা চালায়, সমালোচনার জন্য -- যারা শিক্ষা নেয় তারা এত সুক্ষ্ম জিনিস বুঝে না। এই পার্থক্যটা আমি সব জায়গায় দেখেছি। এমনকি জাকির নায়েকের সমালোচনাতেও।
তৃতীয়তঃ "এটা কি জায়েজ? গল্পটাই কুফরি।" তাহলে আমাদের কওমি উলামারা এই বইয়ের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিলেই পারে। এটা কিন্তু উনারা এখনো দেন নি। শুধু ফেসবুক এনালিষ্টরা এর সমলোচনা নিয়ে এসেছে।
চতুর্থ দাবি, "দরকার কি?"।
উত্তর একেকজনের দরকার একেক জিনিস। খাদ্য তিতা ঝাল অনেক রকম আছে। তিতা করলার দরকার কি? এটাও একটা ভেলিড কোশচেন।
২
এর পর বাশে লাফা লাফি।
কেন?
আমি বুঝি, কারন
প্রথমতঃ চিশতিয়া সাবেরিয়া তরিকার একটা নিয়ম হলো জিকিরের সময় লাফা লাফি করা। তরিকার প্রথম পীর যিনি তিনি এরকম করতেন। এথেকে আসতে পারে। কে জানে।
দ্বিতীয়তঃ তাদের মাঝে প্রচলিত আছে পীরের বয়ান শুনার সময় কার কি হালত হয় এটা দেখে বুঝা যায় সে এর পরের সবক নেবার জন্য তৈরি কিনা। এটা হয়তো তরিকার একটা সাইড ইফেক্ট।
কিন্তু তারা যদি এরকম করেও এটা তাদের তরিকা। আমাদের কি? বা অন্যদের কি? আমাদের কাউকে লাফা লাফি করার হুকুম দিচ্ছে না। বা লাফা লাফি করা ওয়াজিব ফরজ এরকম ফতোয়ায় দিয়ে বসে নি।
আমি এখানে আপত্তির কিছু দেখি না।
ছোট বেলায় যখন মসজিদের হালকায়ে জিকিরে বসতাম তখনো কাউকে না কাউকে লাফা লাফি করতে দেখতাম। ঐ সময়ে কিন্তু চরমোনাই ছিলো না। হয়তো এটা বাংগালির কালচার। বা এই স্টাইলের জিকিরের একটা সাইড ইফেক্ট। জানা নেই।
"কিন্তু অন্য ধর্মাবলম্বিরা দেখে কি বলবে?"
তারা কিছু বলছে না। যা বলার শুধু মুসলিমদের অন্য গ্রুপই বলছে, আমি যতটুকু দেখতে পারছি। আর অন্য ধর্মাবলম্বিরা কি পছন্দ করে সেটা সম্ভবতঃ আমাদের টার্গেট হওয়া উচিৎ না।
তাদের লাফালাফিতে আমি আমার কোনো সমস্যা দেখি না।
এতটুকু টলারেন্স আমার আছে। আলহামদুলিল্লাহ।