Post# 1520934073

13-Mar-2018 3:41 pm


"দল-মত"


এক গ্রামে দুই মসজিদ। যে যেটাতে ইচ্ছে নামাজ পড়ে।

এটা কোনো দল না। আমি দুই মসজিদেই যাবো। বা যেটায় সুবিধা। কারো কোনো আপত্তি নেই।


দুই মসজিদ দুই নেতা দখল নিয়েছে। তারা নিষেধ করে "আপনারা ঐ মসজিদে যাবেন না। আমার মসজিদেই নামাজ পড়বেন।"

এখন দল তৈরি হলো। রাজনৈতিক পার্থক্য। আমি কোন মসজিদে যাই এর উপর আমার দল। আমি আর ফ্রি না।

এখনও আমি দুই মসজিদেই যাবো। তারা আমাকে বলবে "দু মুখি"।


দাবি তোলা হলো,
"ঐটা মসজিদে জেরআর। সেখানে নামাজ পড়লে হবে না।"
"ঐ মসজিদের ইমামের আকিদা ঠিক না।"

রাজনৈতিক পার্থক্য এখন দ্বিনী পার্থক্যে রূপ নিলো। কোনো এক মসজিদে আমি গেলে সেই মসজিদের মুসুল্লিরা বলবে আমার আকিদা ঠিক আছে। অন্য মসজিদ বলবে আমি বাতেল।

এখন যাদের কথা আমার কাছে বেশি সঠিক মনে হয় তাদের কাছে যাবো। তবে অন্য গ্রুপকেও ভুল বলবো না। তাই আমাকে বলবে "ইরজাগ্রস্থ।"


এক মসজিদের গ্রুপ অন্য মসজিদে মুসুল্লি যেতে থাকলে বাধা দেয়া আরম্ভ করে। এটাকে তারা মনে করে নাহি আনিল মুনকারের অংশ। ঈমানের দাবি। সে থেকে মারামারি। ২ জন আহত।

ফিতনার আরম্ভ। এই অবস্থায় আমি ভিকটিমদের মসজিদে যাবো। সাপোর্ট দা আন্ডারডগ। কে ঠিক কে বেঠিক, সেই স্বিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্ব আমার ছিলো। আপনার লাঠির না।


দুই মসজিদের গ্রুপই মারা-মারি আরম্ভ করলো। যে মসজিদে মানুষ যায় তাদেরকে দেখলে পিটায় অন্য মসজিদের গ্রুপ। মানুষ ভয়ে আতংকে আছে। তবে লাঠি ওয়ালাদের বিশ্বাস এটা জিহাদ, এবং তাদের কেউ মরলে শহিদ।

এখন কোনো মসজিদেই আমি যাবো না। তারা আমাকে বলবে কাপুরুষ। কৌশলি। মুজাহিদ বিদ্বেষি।


নতুন একটা গ্রুপ তৈরি হয়। তাদের মতে, প্রচলিত এই ব্যবস্থায় চলছে না। জেরআর-মসজিদে যারা যায় তারাও কাফের। আকিদা সহি না যে ইমাম তার পেছনে যারা নামাজ পড়ে তারাও কাফের। এই কাফেরদের যারা কাফের বলবে না তারাও কাফের। এবং সব কাফেরদের হত্যা করা বৈধ।

এরা খারেজি।
আমি তাদের সাথে না থাকলে তারা আমাকে বলবে "মুরজিয়া।"

    Comments:
  • ^ what's with oman?
  • ওমাদের এক শায়েখ কারো কাছে বায়াত নিচ্ছেন? কার কাছে?
  • আর ওমানিরা "ইবাদি" ধারার অন্তর্ভুক্ত। এদের ব্যপারে আমাদের উলমাদের কি কোনো আপত্তি আছে?

13-Mar-2018 3:41 pm

Published
13-Mar-2018