"খোদার কসম জাকির নায়েকের মত শয়তানও ছাড় পাবে না..."
১
উলামা ওয়াজির বা বয়ানকারিদের আমি দেখেছি "খোদার কসম" ব্যবহার করেন অনিশ্চিৎ কিছু বর্ননা করার ক্ষেত্রে।
"খোদার কসম হাশরের ময়দান কায়েম হবে..." কেউ বলেন না। এটা সবাই জানে।
কিন্তু "খোদার কসম এই ঘটনার প্রতিবাদ না করলে হাশরে আমরা কেউ ছাড় পাবো না..." এটা কমন উক্তি। যদিও এর ইলম তার নিশ্চিৎ জানা নেই।
২
আরবদের মাঝে প্রতি কথায় "ওয়াল্লাহ" বলা প্রচলিত। এক সময় ভাবতাম এটা কি ঠিক? পরে জেনেছি "লা ইউয়াখিজুকুমুল্লাহ বিল লাগউই ফি আইমানিকুম..." সুরা বাকারার আয়াত, তোমাদের নির্থক কছমের জন্য তোমাদের ধরা হবে না। কিন্তু ধরা হবে তোমাদের অন্তর যে কসম করেছে তার উপর।
এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে তারা এরকম বলে।
৩
কসম খাওয়ার সমস্যাটা শুধু দুই এক জনের মাঝে না, বরং মুসলিমদের সব দলের মাঝে দেখেছি যারা খুবই এনার্জি দিয়ে মটিভেশনাল স্পিচ দেন।
তর্কের সময় রেগে গেলে এটা আরো এক্সট্রিমে উঠে যায় "স্বয়ং নবিও যদি..."।
এগুলো থেকে বাচার উপায় হলো কোনো তর্কেই জান প্রান দিয়ে জিতার চেষ্টা নিজে না করা।
নাস্তিকদের সাথে প্রচন্ড আক্রমানাত্মক তর্ক করতে করতে, কিছু বছর পরে নিজে নাস্তিক হয়ে যাওয়ার ঘটনাও একাধিক আছে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিফাজত করুন।