১
ভাইরে, যতই আমরা ঐক্যের কথা বলি, ঐক্য চাই বা স্বপ্ন দেখি -- সময়টা এখন বিভাজনের। কোনো দিন এক-হাত ঐক্য হয় তো পরদিন তিন হাত দূরত্ব।
আমি নিজেও কনফিউজড আমি কোন সাইডে। কে ভালো কে মন্দ।
২
কোনো দলকে ঘৃনা-সমর্থন করার বদলে সব দলের ভালো-মন্দগুলোকে পছন্দ-অপছন্দ করি। এতে আপত্তি দেখি না।
কিন্তু এটাও করা যায় না, যখন যুদ্ধ লেগে যায়। তখন কেউ কোনো দলের বিন্দু মাত্র প্রশংসা করলে তাকে ঐ দলের লোক ধরা হয়।
এর সাথে আছে "আপনি কি মুনাফেক? একবার এই দলের প্রশংসা করেন আবার ঐ দলের?" শত্রুর প্রশংসা কেউ শুনতে চায় না।
৩
তাই ফেসবুকে বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই। কেউ না কেউ ক্ষেপবে। গালি দেবে। এজেন্ট বলবে। দু মুখি বলবে।
কিন্তু কোনো দলে ঢুকে যান, নিজের পক্ষে হাজার মানুষ পাবেন। শত্রুও পাবেন লক্ষ।
৪
কিন্তু দল করার বয়স আমার পার হয়ে এসেছে। এর উপর দলে দলে এত বেশি নতুন ভাগ হচ্ছে, কে যে কোন দলে, সেই খেইও হারিয়ে ফেলি মাঝে মাঝে। কার আদর্শ, শিক্ষা কি সেটা সারা জীবনই দেখে এসছি পরিবর্তিত হয়। এই ফিতনার আগে থেকেই।
এখন,
"আমি কোনো দলে না" একটা নতুন দল।
"দল না করে সালাফদের অনুসরন করলেই হয়" কথাটাকে স্লোগান হিসাবে নিয়ে আরেক দল।
৫
মুসলিমদের মাঝে দলগুলোকে আমি কখনো খারাপ বলতাম না। ঘৃনা করতাম না। কেউ যদি বলে "আমি এই দল করি" তাকে কখনো ডিসকারেজ করি নি। উৎসাহ দিয়েছি। তার দল শিক্ষা সম্পর্কে আরো জেনেছি।
কিন্তু দল থেকে যখন "দলা-দলি" যুদ্ধ-ঝগড়া আরম্ভ হয় তখন নিউট্রাল থাকি নি। কে ভালো কে মন্দ সেটা বুঝার চেষ্টা করে ভালোর পক্ষে থাকার চেষ্টা করেছি। পক্ষে থাকা মানে ঐ দলে যোগ দেয়া না। বরং তাদের ইমোশোনালি সাপোর্ট করে যাওয়া।
এটাও এখন চক্রে পড়ে গিয়েছে। বিভ্রান্তিতে।
কে ঠিক কে বেঠিক কিছুই স্পষ্ট না।