Post# 1520045608

3-Mar-2018 8:53 am



মাঝে মাঝে হাই লেভেলের কিছু দ্বন্ধের কথা এখানে পোষ্ট করতে ইচ্ছে করে। দ্বন্ধ মানে internal conflict, confusion, যেগুলোর উত্তর আমি জানি না।

এর পর বুঝি এসব পড়ে পাবলিক আরো কনফিউজড হবে। যদি ইতিমধ্যে যথেষ্ট কনফিউজড না হয়ে থাকে।


কোনআন শরিফের আয়াত নিয়ে তর্কের খারাপ দিক হলো তর্ক-ব্যখ্যায় ডুবে গেলে ঐ আয়াতের রুহানিয়াত চলে যায়। "মূত্যুর সময় আল্লাহ আশে পাশের লোক থেকেও ঐ মৃতপ্রায় লোকের বেশি কাছে থাকেন" -- শকিং। চিন্তার বিষয় ভয় পাওয়ার বিষয়।

কিন্তু তর্কটা "ইসতেওয়া", "আরশ", "খালেক-মাখলুক মিলে না" এই সব দিকে নিয়ে যান -- এর পর এই আয়াত পড়লে আপনার ফোকাস চলে যাবে ঐ তর্কের দিকে।

এই সব তর্ক না জেনে, এই আয়াত পড়লে অন্তরে যে প্রভাব পড়তো সেটা আর থাকবে না।


এর অর্থ এই না যে "ঐটা অস্বিকার করছি", বা "এটা দাবি করছি"। কিন্তু বিশ্বাসের প্রতিটা বিন্দু ব্যখ্যা করতে পারা শর্ত না। শুধু অতটুকু সাক্ষ্য দেয়া যথেষ্ট যতটুকু সাক্ষের কথা রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন।


ওমর রা: এর নিকট দুজন যদি প্রশ্ন নিয়ে আসতো "আমি কোরআনের এই ব্যখ্যা করছি, সে ঐ ব্যখ্যা -- সমাধান করে দেন" তবে উনি দুজনকেই বেত্রাঘাত করতেনে। কোনো ব্যখ্যা না করে।

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলে দিয়ে গিয়েছে এই ক্ষেত্রে তর্ক না করে বলো আমি কোরআনের সবকিছু বিশ্বাস করি, যে অর্থে আল্লাহ তায়ালা নাজিল করেছেন সেই অর্থে।

"মিনহু আয়াতুম মুহকামাতুন... ওয়া আখিরুম মুতাশাবিহাত..." সুরা আল-ইমরান এর ৭ নম্বর আয়াত। স্পষ্ট করে বলে দেয়া আছে কোরআনের সব কিছুর ব্যখ্যা সবার করতে পারা শর্ত না। ফিতনা বাজরা এগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে।


তাই অনেক কথা আছে যেগুলো আমার কানে না গেলেই আমি খুশি।
অনেক কথা আছে যেগুলো আমার অন্তর থেকে রুহানিয়াত তুলে নিয়ে যাবে।

যদিও আপনি বলছেন, এই সব না জানলে আমার "আকিদা সহি না।"

3-Mar-2018 8:53 am

Published
3-Mar-2018