...
কেউ কেউ প্রত্যেক শুক্রবার নিয়মিত নখ কাটে। তবে শুধু জুমার দিন নখ কাটতে হবে শরীয়ত তা নির্ধারণ করে দেয়নি। কারোর নখ তাড়াতাড়ি বড় হতে পারে এবং তাকে সপ্তাহে দু’ বারও কাটতে হতে পারে। মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বায় একটি ঘটনা আছে যে, জনৈক বুযুর্গ বৃহস্পতিবার নখ কাটছিলেন। কেউ তাকে বলল, আগামীকাল জুমার দিন। সেদিন কাটলেই পারতেন। তিনি বললেন, নেক কাজে দেরি করা উচিত নয়।
কারো মনে হতে পারে যে, কোনো কোনো হাদীসে তো চল্লিশ দিনের কথা বলা আছে। অথচ ঐ হাদীসেই স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, চল্লিশ দিন যেন অতিক্রম না করে। উদ্দেশ্য হল, যে ব্যক্তি ফিতরাতের চাহিদা অনুযায়ী আমল করে না এবং নখ ও মোচ এমনভাবে বড় করতে থাকে, যেন সে জংলী হতে চলেছে সেক্ষেত্রে শরীয়তের আইনী বিধান হল, চল্লিশ দিন অতিক্রম করতে পারবে না।
নিয়মিত নখ কাটা ইসলামের অন্যতম বিধান ও সুন্নাত। নখ কাটার জন্য কোন নির্ধারিত নিয়ম বা দিবস রাসুল (সাঃ) শিক্ষা দেননি। বিভিন্ন বই এ নখ কাটার বিভিন্ন নিয়ম, উল্টোভাবে নখ কাটা, অমুক নখ থেকে শুরু করা ও অমুক নখে শেষ করা, অমুক দিনে নিখ কাটা বা না কাটা ইত্যাদির ফযীলত বা ফলাফল বর্ণনা করা হয়েছে। এগুলি সবই পরবর্তী যুগের প্রবর্তিত নিয়ম। মুহাদ্দিস গণ একমত যে, এ বিষয়ে যা কিছু প্রচলিত আছে সবই বাতিল, বানোয়াট ও মিথ্যা।
নখ কাটার জন্য এ সকল নিয়ম পালন করাও সুন্নাত বিরোধী কাজ। রাসুল (সাঃ) নখ কাটতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোন বিশেষ নিয়ম বা দিন শিক্ষা দেননি। কাজেই যে কোন ভাবে যে কোন দিন নখ কাটলেই এই নির্দেশ পালিত হবে। কোন বিশেষ দিনে বা কোন বিশেষ পদ্ধতিতে নখ কাটার কোন ফযীলত কল্পনা করার অর্থ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শিক্ষাকে অপূর্ণ মনে করা এবং তাঁর শিক্ষাকে পূর্ণতা দানের দুঃসাহস দেখানো। আল্লাহ যেন আমাদের সহীহ সুন্নাতের মধ্যে জীবন যাপনের তওফীক প্রদান করেন।
(লিংক কমেনটে)