টলারেন্স:
১
এক সময়ে দেশে দ্বোয়ালিন আর জোয়ালিন পন্থিদের মাঝে রায়ট লাগতো। সেই জেনারেশনটা আমি দেখি নি, কিন্তু তার ফলআউট দেখেছি, শেষ অংশটা।
এখন হয়তো এটাকে বলা হবে এক্সট্রিম ইনটলারেন্স। হয়তো এর একটা ঠিক, কিন্তু এর উপর রায়ট লাগনোটা বেঠিক।
২
ছোট বেলায় আমি একটা মিক্সড সোসাইটিতে বড় হয়েছি। অন্য ধর্মিদের সাথে ফ্রেন্ডশিপের সময় বড়দের বলতে শুনতাম : ভাই মুসলিমই বলেন, হিন্দুই বলেন খৃষ্টানই বলেন, আমরা সবাই কিন্তু ঐ এক স্রষ্টাকে মানি। ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। অন্য পক্ষ জবাব দিতো হ্যা, ঠিক বলেছেন।
এটা হয়তো এক্সট্রিম টলারেন্স। যেটা বেঠিক।
৩
আচ্ছা, দুই এক্সট্রিমের মাঝে ব্যলেন্সটা কোথায়? কোন জায়গায় দাগ টানবো যে এটা আমরা টলারেট করবো এর বাইরে না?
উত্তর : "দ্বীন যখন বিকৃত হয়..."
যোয়ালিন পড়াটাকে দ্বিনের বিকৃতি হিসাবে প্রেজেন্ট করা যায়।
"বিন্দু মাত্র বিকৃতি আমরা সহ্য করবো না..."
চরমোনাই আর আহলে হাদিসের মাঝে রায়ট চলতে থাকবে।
যতক্ষন না বাংলার বুকে শুধু একটা দল থাকে।
"আহলে সুন্নাহর বাইরে গেলে..."
কাদের আহলে সুন্নাহর ডেফিনিশ আপনি গ্রহন করেন?
বেরলভিদের মতে তারা "সুন্নি জামাত।"
আর সালাফিদের মতে দেওবন্দিরা আহলে সুন্নাহর বাইরে। islamqa ফতোয়া আছে।
"অন্য ব্যপারে ছাড় দেয়া যায়, কিন্তু আকিদার ব্যপার হলে..."
আমরা আশারি বনাম আথারি তর্কের দিকে যাচ্ছি।
"ভাই এত কিছু বুঝি না, কোরআনে যা আছে আমরা যদি শুধু এতটুকু....."
আপনি কি মনে করেছেন আশারি বনাম আথারি তর্কে শুধু এক পক্ষের সমর্থনে আয়াত কোরআন শরিফে আছে?
৪
এখন সত্য হলো দ্বিনের বিকৃতির মাঝে চুপ থাকাটা বেঠিক। বিকৃতি বাড়বে।
আবার সোচ্চার হয়ে বহু জনকে ফিতনায় পড়ে যেতে দেখেছি। যখন তর্কের পয়েন্টটা এত গুরুত্বপূর্ন হয়ে যায় যে সেটা না মানলে বিরোধি পক্ষকে মুসলিমই কাউন্ট করা হয় না। তার নামাজ রোজা কিছুর কোনো দাম নেই। সে কাফের তাই মুসলিমদের সম্মান, রক্ত, নিরাপত্তার হুকুম গুলো তার উপর বর্তায় না।
সময় বলে দেয় কোনটা ঠিক। কিন্তু আমরা তো ভবিষ্যতে বাস করছি না, করছি বর্তমানে। ভবিষ্যতে জানলেও আমি বর্তমানে ফিরে এসে আমার কাজগুলোকে ঠিক করতে পারবো না।
৫
এখানে সমাধান দেয়া হয় নি। শুধু সমস্যাটা হাইলাইট করা হয়েছে।
- Comments:
- https://sanjir.com/6256/