Post# 1515979942

15-Jan-2018 7:32 am


৮০:
যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। তখন "মারফতের গোপন কথা" নামে একটা বই বেরিয়েছিলো। প্রতিবাদের মুখে মাস দুয়েক পরে সরকার এটা ব্যন করে দেয়। লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখি শেলফ থেকে বইটা সরিয়ে ফেলেছে। এটা আমার প্রথম বই যেটাকে ব্যন করতে দেখলাম।

দশ বছর পর:
ঐ লিখক একটা ফলোআপ বই লিখে ছাপায়। কাছা কাছি নাম দিয়ে। গুলিস্তানের ফুটপাথে পুরানো বইয়ের দোকানে পাই। কিনে আনি। অরিজিন্যল বইটা কেনার সামর্থ ছিলো না।

নিষিদ্ধ বই:
আমি "কার মত কি" জানার জন্য বই পড়তে পারি নিজে মতটা গ্রহন না করে। বইটা সঠিক হবার দরকার নেই। পড়ে জানলাম তার বিশ্বাস এই।

কিন্তু অধিকাংশ এটা করতে পারে না। তারা ইমোশনাল হয় যায়। "এটা কি ঠিক?" "তাহলে তারা যে বললো সেটা?" "এটা কি লিখেছে?" "এইসব বই পড়ো কেন?"

বিয়ের পর এটা বাড়লো। বইটা পড়লো ওয়াইফের হাতে। শেষে দুজনের সম্মতিতে পুড়িয়ে ফেলা।

Fahrenheit 451:
বই পুড়ানো জীবনে অনেকবার করতে হয়েছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই অন্য কারো উৎসাহে। এবং সব ক্ষেত্রে পরে আফসোস করেছি, ইশ যদি নষ্ট না করতাম।

অলটারনেটলি চিন্তা করি, আমি হয়তো কিছু বছর পরে মরে যাবো। বিতর্কিত বইগুলো পড়বে আমার সন্তানদের হাতে। তারা পড়ে কি বুঝবে? কি মনে করবে? Well, whatever.

আরো দশ বছর পরে:
ইউটুবে দেখলাম বাবা জাহাঙ্গিরের লেকচার। ঈমান আল সুরেশ্বরি।

ক্লিন শেইভড, তুর্কি টুপি মাথায়। উনার পুরানো ভিডিও আছে। আবার রিসেন্ট আছে। থুরথুরে হয়ে গিয়েছেন -- "দেখি আমিই আমার পীর, আমিই আমার মুরিদ"।

উনার কিছু ক্লিপ নিয়ে আগে ট্রল পোষ্ট দিয়েছিলাম।

আজকে জানলাম এই বাবা জাহাঙ্গির ছিলেন ৮০র দশকের "মারফতের গোপন কথার" লিখক। আমার ছোটকালের সেনসেশন। :V তখন উনার দাড়ি ছিলো। এখন নাই, চেছে ফেলেছেন।

15-Jan-2018 7:32 am

Published
15-Jan-2018