ওয়াজের ব্যপারে আমি গতবছর পর্যন্তও পজিটিভ ছিলাম।
১
এখন এলাকার মাহফিলগুলোতে, পুরোদস্তুর টাকা কালেকশন উদ্যশ্য হয়ে গিয়েছে। এবং এজন্য ওয়াজিরগন এমন সব ওয়াদা করেন :
"১০ জন আশারায়ে মুশাশ্শারার নামে ১০ জন দাতা এত টাকা করে। ৩১৩ জন বদরি সাহাবির মত ৩১৩ জন এত টাকার দাতা। ইনশাল্লাহ এই দানের বরকতে আল্লাহ তায়ালা আপনাদের উনাদের সাথে মিলিত করে দেবেন। আল্লাহ তায়ালা চাইলেই পারেন।..." একাধিক ওয়াজে একই কথা।
উদ্যোক্তারা প্রকাশ্যেই বলেন আমরা এলাকায় মাহফিল করি কালেকশনের উদ্যেশ্যে।
২
মুফতি মনসুরুল হক সাহেব ওয়াজের ব্যপারে অনেকগুলো শর্ত বলেছিলেন। এতে আছে:
"লোকদের ওয়াজ মাহফিলের দাওয়াত দিয়ে তাদের থেকে চাঁদা কালেকশন করবে না। কারণ প্রচারপত্রে ওয়াজ শুনানোর ঘোষণা বা ওয়াদা করা হয়। চাঁদার প্রয়োজন হলে জনসাধারণদের ডেকে পরামর্শ সভা করবে এবং সাহায্যের আবেদন করবে। (সূরায়ে বাকারা: ৪০)"
৩
এর সাথে যোগ হয়েছে নিয়ম করে আগে থেকে শর্ত দিয়ে, প্রতিটা মাহফিলে এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের এসে পলিটিক্যল বক্তিতা।
অথচ ১০ বছর আগেও ওয়াজ মঞ্চ আর রাজনৈতিক মঞ্চ দুটো দুই প্রান্তে ছিলো।
৪
কিছু বলার নেই। কারন এগুলো আলেমরা করছেন, আলেমরাই দেখবেন। আমার চয়েস কিছু গ্রহন করা। বা যেটা খারাপ মনে করি সেটা বর্জন করা।
- Comments:
- https://sanjir.com/6163/