১
জনৈক সুফী কোন একজন পরালোকগত আলেমকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন আপনি যে সব শাস্ত্র দ্বারা বিতর্ক করতেন সেগুলোর অবস্থা কি?
আলেম ব্যক্তি তার প্রাসারিত হাতের তালুতে ফু মেরে বললেন সব ধুলার ন্যয় উড়ে গিয়েছে। কেবল দু রাকাত নামাজ আমার কাজে এসেছে যা রাতের বেলায় আমি আদায় করতাম।
২
হাদীসে বলা হয়েছে হেদায়াত লাভ করার পর কোন সম্প্রদায় পথভ্রষ্ট হয়নি। কিন্তু তখন হয়েছে, যখন তারা কলহ ও বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়েছে ৷ এর পর রসুলুল্লাহ (সাঃ) এই আয়াত তেলওয়াত করলেন : তারা কেবল কলহের জন্যই আপনার এ নাম বর্ণনা করে ৷ তারা তো কলহপ্রিয় সম্প্রদায় ৷
"ফা আম্মা আল্লাদিনা ফি কুলুবিহিম জাইগুন।" (যাদের অন্তর বক্র) এ আয়াতের তফসীর প্রসঙ্গে বর্ণিত হ্যাদীসে আছে, এরা হচ্ছে ঝগড়াটে লোক।
"ওয়াহদারহুম আই ইয়াফতিনুন" এদের থেকে বেচে থাকুন যেন এরা আপনাকে বিভ্রান্তিতে না ফেলে।
৩
জনৈক বুজুর্গ বলেন শেষ যমানায় কিছু লোক হবে যাদের উপর আমলের দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে এবং ঝগড়া বিতর্কের দরজা খুলে যাবে।
এক হাদিসে আছে তোমরা এমন জামানায় আছো যাতে আমলের দরজা খোলা আছে। আচিরেই এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি হবে যাদের অন্তরে বিবাদ ঢেলে দেয়া হবে।
মশহুর হাদিসে আছে : আল্লহর কাছে অধিক নিন্দনীয় হচ্ছে ঝগড়াটে ব্যক্তি।
এক রেওয়াতে আছে : যে সমপ্রদায় বাকপটুতা প্রাপ্ত হয় তারা আমল থেকে বঞ্চিত হয়।
৪
আলি ইবনে বসির হিম্মাি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তার পিতা খলীল
ইবনে আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে স্বপ্নে দেখে বললেন : আপনার চেয়ে
অধিক বুদ্ধিমান আমি কাউকে পাইনি ৷ এখন আপনার অবস্থা কি?
খলিল বললেন : আমি যে কাজে ব্যাপৃত ছিলাম তার অবস্থা তো তুমি জেনেছ? এ কলেমাগুলো ছাড়া কোন কিছু আমার জন্যে উপকারী হয়নি :
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ল্লাহু আকবার।
- এহইয়া উলুমুদ্দিন।