শিক্ষার তিনটি স্তর রয়েছে
১। যতটুকুতে কাজ চলে
২। মাঝারি স্তর এবং
৩। পুর্ণতার স্তর
১
এখন হাদীস , তফসীর , ফেকাহ ও কালাম শাস্ত্রের এ তিনটি স্তর বলে দেয়া হচ্ছে, যাতে অন্যান্য শাস্ত্রও অনুমান করে নেয়া যায় ৷
তফসীর শাস্ত্রে প্রথম স্তর হচ্ছে কোরআনের দ্বিগুণ পুরু একটি কিতাব পড়া। যেমন, আলী ওয়াহেদী নিশাপুরীর তফসীর ওজীয৷
মাঝারি স্তর হচ্ছে কোরআনের তিন গুণ পুরু একটি কিতাব৷
যেমন , নিশাপুরীর অন্য তফসীর ওসীত ৷
পুর্ণতার স্তর আরও বেশী যার কোন প্রয়োজন নেই ৷
২
হাদীসের প্রথম স্তর হচ্ছে বোখারী ও মুসলিমের বিষয়বস্তু কোন পন্ডিত ব্যক্তির কাছে বুঝে নেয়া ৷ বর্ননাকারীদের নাম মুখস্থ করা জরুরী নয় ৷ এ কাজ পুর্ববর্তী লোকেরা সম্পন্ন করেছেন ৷ তাদের কিতাবসমুহ বিশ্বাসযোগ্য মনে করাই তোমার জন্যে যথেষ্ট ৷
মাঝারি স্তর হচ্ছে বোখারী ও মুসলিমের সাথে সকল সহীহ হাদীস গ্রন্থ পাঠ করা ৷
পুর্ণতার স্তর হচ্ছে দুর্বল , শক্তিশালী , সহীহ, মুয়াল্লাল ইত্যাদি যত প্রকার হাদীস বর্ণিত আছে সবগুলো পাঠ করা। এবং সনদের অনেক তরীকা, বর্ণনাকারীদেয় জীবনচরিত, নাম ও গুণাবলী জানা ৷
৩
ফেকাহ শাস্ত্রে প্রথম স্তর হচ্ছে মুযানীর মুখতাসারের ন্যায় কিতাব পড়ে নেয়া ৷
মাঝারি স্তর হচ্ছে আমার কিতাব ওসীতের সাথে আরও বড় বড় কিতাব পাঠ করা ৷
- এহইয়া উলুমুদ্দিন।