Post# 1508411622

19-Oct-2017 5:13 pm


বিজ্ঞান না? তাহলে মুসলিমদের পতনের কারন কি?


সত্যিকার কারন যেটা আমি বিশ্বাস করি সেটা হলো "ওয়াহান" যা হাদিসে বর্নিত আছে। দুনিয়ার লোভ আর মৃত্যুর ভয়।

বস্তুত্ব ওয়াহান অন্তরে আসার পর, হাদিসে বলা আছে, কাফেররা একে অন্যকে ডাকতে থাকবে মুসলিমদের দেশ দখলরে জন্য। এবং ১২০০ হিজরি [১৮০০ সাল] থেকে এটাই হচ্ছে, exactly হাদিসে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে। কর্ডোভার পতন যে এই কারনে হয়েছে সেটা জানি।

১৮০০ সাল থেকে মুসলিমদের অন্তরে ওহান এসেছ কিনা? এবং এর আগে ছিলো না কিনা? সেটা আমি নিশ্চিৎ জানি না। কিন্তু এটা জানি ঐ সময় নাগাদ এই পতন আরম্ভ হয়েছে।


তবে আমি কোনটা বিশ্বাস করি সেটা আলোচনা করা অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমার উদ্দ্যেশ্য থাকে না। আমার উদ্দ্যেশ্য থাকে অন্যরা আর কি বলছে সেটা জানা।

So lets continue. এগুলোকে ভুলও বলছি না। ঠিকও বলছি না।


আল্লামা ইকবালের কথা বলছিলাম। শেকায়া লিখার কিছু বছর পরে, উনি নিজেই "জবাবে শেকায়া" নামে আরেকটা কবিতা লিখেন। শেকায়াতে দেয়া নিজের প্রশ্নগুলো জবাব দিয়ে। এটা আমার পড়া নেই, কারন এর বাংলা অনুবাদ পাই নি। তবে সামারি জানি।

উনি বলেছেন মুসলিমরা যখন থেকে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মহব্বত নিজ অন্তর থেকে হারিয়ে ফেলেছে তখন থেকেই তাদের পতন আরম্ভ হয়েছে। এর সমাধান হলো উনার মহব্বত আবার অন্তরে আনা।

এবং উনি আন্তরিক ভাবে এটা বিশ্বাস করতেন। উনার শেষ জীবনের দিকে উনার সামনে কেউ রাসুলুল্লাহ ﷺ এর নাম উচ্চারন করলে উনার চোখ ভিজে আসতো।


তবে ইকবালকে অনেকে সুফি ঘরানার ধরে। যদিও উনার দাড়ি ছিলো না। এবং তাদের মতে মুসলিমদের পতনের কারন হলো সুফিজম। একটা যুগ পর্যন্ত মুসলিমরা জিহাদ করতো আর বাকি দুনিয়া তাদের ভয় করে চলতো। এর পর ৬০০ হিজরীর দিকে সুফিজমের বিস্তার লাভ করে। মুসলিমরা যুদ্ধ ছেড়ে তাসাউফ এবং নিজস্ব ইবাদতে ঝুকে পড়ে। এবং এই দুর্বলতার সুযোগে বাকি দুনিয়া তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তারা পরাজিত হতে থাকে।


পঞ্চম মত হলো মুসলিমদের মাঝে সত্যিকার ঈমান আমল এখন আর বাকি নেই। তাই আল্লাহর সাহায্য হারিয়ে ফেলেছে। এগুলো কি করে ফিরে আসবে? এর সমাধান দাওয়াহ। এবং কিছুটা সুফিজমের চর্চা। অন্তরকে ঠিক করার জন্য।

কোনটা ঠিক? Up for debate.

    Comments:
  • FAQ:
    "কর্ডোবার পতন ১৮০০ সালে অনেক আগেই হয়েছে।"
    এবং এধরনের নিট পিক।

19-Oct-2017 5:13 pm

Published
19-Oct-2017