Post# 1507455312

8-Oct-2017 3:35 pm



ছাত্রাবস্থায়।
ঠিক করলাম হাদিসে যেরকম নামাজের বর্ননা আছে হুবহু সে রকম নামাজ পড়বো।

দাড়ালাম।
লিখা আছে তকবির বলে দুই হাত উপরে তুলে নিচে নামালেন যতক্ষন না হাড়ের জোড়াগুলো তার স্বাভাবিক অবস্থানে আসে।

তকবির বলে হাত বাধলাম। হাড় তার স্বভাবিক অবস্থানে আসে? কাধ দুটো ছেড়ে দিলাম। ইঞ্চি পরিবর্তন হলো। আর কিছু করার নেই।


হাদিসে পড়লাম, নামাজে যদি কাউকে শয়তান ধোকা দেয় তবে সে যেন তর্জনি দিয়ে উরুতে চাপ দেয়।

আমাকে অনেক শয়তান ধোকা দেয়। নিয়ত বাধা অবস্থা থেকে হাত সরিয়ে এরকম করতে হবে? নামাজ ভাঙ্গবে না?


হাদিসে পড়লাম, নামাজের জামাতে অপ্রত্যাশিত কিছু হলে ছেলেরা পেছন থেকে সোবহানাল্লাহ বলবে। আর মেয়েরা উরুতে হাত দিয়ে বাড়ি দিয়ে শব্দ করবে, কারন এতে সবচেয়ে কম মুভমেন্ট হয়।

আমার মনে হলো নিয়ত বাধা অবস্থায় এক হাত দিয়ে অন্য হাতের উপর বাড়ি দিলে আরো কম মুভমেন্ট হবে।


হজ্জে গেলাম। কিছু লোক একেবারে হাত ছেড়ে নামাজ পড়ে। এদের মাঝে কিছু লোক দুই হাত সোজা করে শক্ত করে। দেখতে অত খারাপ লাগে না।

কিন্তু অন্য কিছু এমন ভাবে হাত ছেড়ে রাখে যেন হাতের ব্যপারে তার কোনো খেয়াল নেই।

দেখলাম তাদের মাঝে আলেম আর দ্বীনদাররা বরং হাত যেমন তেমন করে ছেড়ে রাখে।


ইউটুবে হামযা ইউসফের লেকচার শুনছিলাম। উনি মালেকি ফিকাহর।

8-Oct-2017 3:35 pm

Published
8-Oct-2017