রোহিংগাদের অবস্থায় যেন আমরা না পড়ি।
১
নিশাপুরের কাহিনী মনে পড়ে। তাতাররা শহরের সবাইকে কতল করে মাথার পাহাড় তৈরি করে।
নিশাপুর ছিলো ঐ সময়ে দ্বীনি ইলমের কেন্দ্র। এখন যেমন দেওবন্দ, মদিনা, আযহার কেন্দ্র।
ইলমের চর্চা তাদের বাচাতে পারে নি। তবে দোষ কি ছিলো?
২
বাগদাদের আমির সৈন্য নিয়ে রক্ষায় নেমেছিলো। পরাজিত হয়ে তাদেরও নিশাপুরের অবস্থা বরন করতে হয়।
প্রতিরোধে যে মুক্তি সেটা নিশ্চিৎ না।
হাদিসটা মনে পড়ে। বাগদাদের তিন ভাগের এক ভাগ আত্মসমার্পন করবে, একভাগ মরুভূমিতে পলাবে, এক ভাগ শহিদ হবে। যারা শহিদ হবে তারা সফল। বাকিরা ধ্বংশ হয়ে যাবে।
যারা পালিয়েছিলো তারা বাকি জীবন মসজিদে মসজিদে ভিক্ষা করতো। মুহাদ্দিসরা বলেন।
এগুলোকে "ওয়ালা নাবলুয়ান্নাকুম..." আয়াতের সাথে ধরে নেবো? আল্লাহর পরিক্ষা। আমাদের কিছু করার নেই?
৩
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উম্মাহর পতনের পর একে অন্যকে ডাকে মুসলিমদের দেশগুলো দখল করে নেবার জন্য।
ইকবাল আল্লাহর কাছে অভিযোগ দিয়ে লিখেছিলেন "শেকায়াত"।
ছোট বেলায় পড়েছিলাম এর বাংলা অনুবাদ। বলছিলেন আমরা মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে, আপনার ইবাদত করেছি, মূর্তি পুজা ধ্বংশ করেছি, ঘোড়ায় চড়ে মরুভুমিতে আপনার পক্ষে লড়াই করেছি। কিছু বাদ রাখি নি। তার পরও আমাদের এই অবস্থা কেন?
আমার শেকায়াত নেই।
তবে জানার তীব্র আগ্রহ আছে। যেন মৃত্যুর আগে তৌবা করে নিতে পারি।
- Comments:
- যাদের কাছে এত ইলম ছিলো, তাদের কাছে এই ইলমটা ছিলো না তা না।
অনেক বুজুর্গ ছিলো তাদের মাঝে যাদের কথা আমরা এখনো কিতাবে পড়ি। - সম্ভবতঃ আবু দাউদে। খুজলে পাবেন, বা আমি পেলে জানাবো ইনশাল্লাহ।