Post# 1504747805

7-Sep-2017 7:30 am


(সুরা আল-আনআম এর ৩য় ভাগ, ৬ পৃষ্ঠা করে)

আল্লাহ দানা-বীজকে ফুটান।
মৃত থেকে জীবিত বের করেন, আবার জীবিত থেকে মৃত।
এ হলেন আল্লাহ! কোথায় ধোকায় পড়ছো?

ভোরকে ফুটান, রাত করেন শান্তির।
হিসাব রাখার জন্য চাদ-সূর্য।
এসব নির্ধারিত মহান জ্ঞানীর।

উনি তারকা দিয়েছেন।
যেন স্থলে-জলের অন্ধকারে এ দিয়ে পথ খুজে পাও।
বিভিন্ন ভাবে আয়াত বললাম, জ্ঞানিদের জন্য।

তোমাদের বিস্তার করেছেন এক জন থেকে।
এর পর থাকার জায়গা, রাখার জায়গা দিয়েছেন।
বিভিন্ন ভাবে আয়াত বললাম, চিন্তাবিদদের জন্য।

আকাশ থেকে পানি নামান।
এ থেকে সকল গাছ বের করি।
এ থেকে সবুজ ফসল।
এ থেকে স্তরে স্তরে শস্য।
আর খেজুর গাছ, যার কাদি বেরিয়ে ঝুলে থাকে।
আংগুর, জলপাই, ডালিমের বাগান।
সব একই রকম, তবুও ভিন্ন।
দেখো সেই ফল, যখন তা ফলে আর পাকে।
এর মাঝে আছে বিশ্বাসিদের জন্য নিদর্শন।

তারা জ্বীনদের আল্লাহর সাথে শরিক করে, যাদেরকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।
পুত্র-কন্যা আছে বলে দোষারোপ করে, না জেনে।
আল্লাহ পবিত্র তাদের বর্ননার উপরে।

তিনি শুরু করেছেন আসমান-জমিন।
কি করে উনার পুত্র হবে যেখানে সংগী নেই?
বরং উনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, উনি সব জানেন।

উনিই আল্লাহ, তোমাদের রব!
উনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
সব কিছুর স্রষ্টা, তাই উনার ইবাদত করো।
উনি সব কিছুর উপর উকিল।

দৃষ্টি উনাকে পায় না, উনি সকল দৃষ্টিকে পান।
উনি সুক্ষ্ম জ্ঞানী।

তোমাদের রবের থেকে এসেছে অন্তরদৃষ্টি।
যে দেখতে পাবে, তা নিজের জন্য।
যে অন্ধ হবে, তা তার উপর।
আমি তোমাদের রক্ষাকারী না।

বিভিন্নভাবে আয়াত বর্ননা করছি
যেন তারা বলে, আপনি দরস নিয়েছেন।
জ্ঞানিদের কাছে তা বর্ননা করার জন্য।

আপনার রব থেকে যে ওহি এসেছে সেটার অনুসরন করুন।
উনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
এবং মুশরিকদের থেকে সরে যান।

যদি আল্লাহ তাই চাইতেন তবে তারা শিরক করতো না।
আপনাকে তাদের রক্ষাকারী করি নি,
আপনার উপর তাদের দায়িত্ব না।

আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেগুলোকে তারা ডাকে,
সেগুলোকে গালি দিবে না।
তাহলে তারাও শত্রুতা করে আল্লাহকে গালি দেবে, না জেনে।
এভাবে সব জাতির কাছে নিজেদের কাজকে সুন্দর করে রাখি।
এরপর তাদের রবের কাছে ফিরবে।
তাদের জানানো হবে কি করে এসেছে।

শক্ত শপথে তারা আল্লাহর নামে কসম করে যে-
কোনো নিদর্শন আসলে তারা বিশ্বাস করতো।
বলে দিন নিদর্শন আল্লাহর কাছে।
কে তোমাদের বুঝাবে! নিদর্শন আসলেও তারা বিশ্বাস করতো না।

আমি তাদের অন্তর আর চোখকে ঘুরিয়ে দেবো,
যে রকম তারা প্রথমবার এতে বিশ্বাস করে নি।
তাদেরকে ছেড়ে দেবো নিজেদের অবাধ্যতার মাঝে বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরার জন্য।

যদি তাদের উপর ফেরেস্তা নামাতাম,
আর মৃতরা তাদের সাথে কথা বলতো,
আর সমস্ত কিছু তাদের কাছে একত্র করতাম, মুখোমুখি -
তবুও তারা বিশ্বাস করতো না, যদি না আল্লাহ চান।
তাদের অধিকাংশ অজ্ঞ।

এভাবে প্রত্যেক নবীর মাঝে শত্রু দিয়েছি শয়তানকে
মানুষ আর জ্বীন থেকে।
তারা এক দল অন্যকে সাজানো ধোকার কথা শিখিয়ে দেয়।
আপনার রব চাইলে এ কাজ করতো না।

তাদের ছেড়ে দিন, তাদের বানোয়াট কথায়।
যেন যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না
তাদের অন্তর সে দিকেই ঝুকে থাকে।
যেন যারা খারাপ কাজে লেগে আছে
তারা তাতে লেগে থেকে সন্তুষ্ট থাকে।

আমি কি আল্লাহকে ছেড়ে অন্য বিচারক খুজবো?
অথচ উনি তোমাদের উপর কিতাব নাজিল করেছেন, বিস্তারিত।
যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা জানে এটা সত্যি আপনার রব থেকে নাজিল।
আপনি সন্দেহকারীদের একজন হবেন না।

আপনার রবের কথা পূর্ন হয়েছে, সত্য আর ন্যয় দিয়ে।
উনার কথার পরিবর্তনকারী নেই!
উনি সব শুনেন জানেন।

দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের অনুসরন করলে
তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে দেবে।
তারা নিজ ধারনার অনুসরন করে,
মিথ্যা ধারনা থেকে কথা বলে।

আপনার রব জানেন কে পথ থেকে সরে গিয়েছে,
আর কে সরল পথে আছে।

অতঃপর যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়েছে তা থেকে খান,
যদি উনার আয়াতে বিশ্বাসি হন।

তোমরা কেন আল্লাহর নামে যা জবাই করা হয়েছে তা খাও না?
অথচ তোমাদেরকে বলে দেয়া হয়েছে, কি তোমাদের জন্য হারাম।
তবে নিরুপায় হলে ভিন্ন কথা।
অধিকাংশ লোক ইলেম ছাড়া মন মত চলে বিপথগামী হয়।
আপনার রব সীমা অতিক্রম কারীদেরকে জানেন।

আর গোপন-প্রাকাশ্য গুনাহ ছেড়ে দাও।
যারা গুনাহ করে তারা কাজের ফল পাবে।

আল্লাহর নামে যা জবাই হয় নি তা খেও না, এটা ফাসেকি।
শয়তানরা তাদের বন্ধুদের পরামর্শ দেয় তোমাদের সাথে তর্ক করতে।
তাদের অনুসরন করলে তোমরা মুশরিক হয়ে যাবে।

যে মৃত ছিলো এর পর জীবিত করেছি
তাকে নূর দিয়েছি, এ দিয়ে সে মানুষের মাঝে হাটে।
সে কি তার মত? যে অন্ধকারে, কখনো বের হবে না!
এভাবে কাফেরদের কাজ তাদের কাছে সাজিয়ে দেয়া হয়।

এভাবে প্রতি শহরে অপরাধীদেরকে নেতা বানাই,
যেন তারা সেখানে পরিকল্পনা করে।
তাদের সব পরিকল্পনা নিজেদের বিরুদ্ধে,
যদিও তারা বুঝে না।

তাদের কাছে আয়াত আসলে বলে
আল্লাহর রসুলকে যা দেয়া হয়েছে
সেই ভাবে আমাদেরকে না দিলে ঈমান আনবো না।
আল্লাহ জানেন রিসালাত উনি কোথায় পাঠাবেন।
পাপিরা আল্লাহর অপমান আর আর কঠিন শাস্তি ভোগ করবে,
তাদের পরিল্পনার জন্য।

আল্লাহ যার ভালো চান
তার অন্তরকে ইসলামের জন্য প্রশস্ত করে দেন।
যাকে বিপথগামী করতে চান,
তার অন্তরকে আটোসাটো সংকির্ন করে দেন যেন সে আকাশে উড়ছে।
এভাবে আল্লাহ যারা ঈমান আনে না, তাদের অন্তর ময়লা করে দেন।

এ আপনার রবের সরল পথ।
মনযোগীদের জন্য আয়াতকে বিশদ ব্যখ্যা করছি।
যাদের জন্য শান্তির ঘর আছে তাদের রবের কাছে।
উনি তাদের বন্ধু তাদের কাজের কারনে।

সেদিন তাদেরকে এক করা হবে।
হে জ্বীন! অনেক মানুষকে তোমরা নিয়েছো।
মানুষদের মাঝে জ্বীনদের বন্ধুরা বলবে
আমাদের রব!
আমরা তাদের থেকে, তারা আমাদের থেকে উপকার নিয়েছি।
এর পর আপনার শেষ সময় আমাদের কাছে চলে আসে।

উনি বলবেন, তবে আগুন তোমাদের জায়গা, সেখানে ঢুকবে,
আল্লাহ যাকে চান না, সে ছাড়া।
আপনার রব জ্ঞানী, জানেন।
এভাব আমি জালমদের দলে দলে বন্ধুত্ব করে দেই,
তাদের কামাইয়ের কারনে।

হে জ্বীন আর মানুষ!
আমি কি তোমাদের কাছে রাসুল পাঠাই নি? তোমাদের মাঝে থেকে?
তোমাদেরকে আমার আয়াত বলতো,
আর এই দিনের, এই সাক্ষাতের হুশিয়ারি জানাতো?
তারা বলবে, আমরা নিজেরা নিজেদের সাক্ষি।
দুনিয়ার জীবন তাদের বিভ্রান্ত করে রেখেছিলো।
তারা সাক্ষি যে নিজেরা কাফের ছিলো।

যেন এ না হয় যে,
আপনার রব কোনো শহরকে ধ্বংশ করেন তাদের জুলুমের কারনে
আর তারা জানে না কেন।

প্রত্যেকের কাজের জন্য তাকে একটা স্তর দেয়া হয়।
তারা যা করে এ ব্যপারে আপনার রব অজ্ঞ না।

আপনার রব অমুখাপেক্ষি, দয়াময়।
চাইলে তোমাদের সরিয়ে তোমাদের পরে যাদেরকে চান আনতে পারেন।
যেভাবে তোমাদেরকে এনেছেন অন্য কওমের বংশধর হিসাবে।

যা ওয়াদা করা হয়েছে তা নিশ্চিৎ আসবে।
তোমরা এড়াতে পারবে না।

বলে দিন, আমার কওম!
তোমাদের জায়গায় তোমরা কাজ করো, আমিও করছি।
কিছু দিন পর জানবে শেষ-আলয় কার।
জালেমরা সফল হয় না।

আল্লাহ যে ফসল আর পশু উৎপাদন করেন
তা থেকে তারা আল্লাহর জন্য ভাগ করে।
বলে এ আল্লাহর জন্য, এ আমাদের শরিকদের জন্য - ধারনা থেকে।
তাদের শরিকদের কিছু আল্লাহর কাছে পৌছে না,
আল্লাহর জন্য যা, তা তাদের শরিকদের কাছে পৌছে।
মন্দ তাদের বিচার।

এভাবে শরিকরা অধিকাংশ কাফেরদের কাছে
নিজের সন্তান হত্যাকে সুন্দর করে দেখায়।
তাদেরকে ধ্বংশ আর ধর্মের মাঝে বিভ্রান্ত করতে।
আল্লাহ চাইলে তারা এমনটা করতে পারতো না।
তাদেরকে তাদের বানোয়াট জিনিস সহ ছেড়ে দিন।

7-Sep-2017 7:30 am

Published
7-Sep-2017