প্রসঙ্গ : মিসাইল
১
দুদিন আগে হুতিদের ছোড়া একটা মিজাইল মক্কার ৭০ কিলোমিটার দূরে ইন্টারসেপ্ট করে ফেলে দেয়া হয়।
বুঝলাম সৌদিদের খুব ভালো এন্টি মিসাইল টেকনলজি আছে, আল্লাহর রহমতে।
২
মুসান্নাফ ইবনে শায়বার এক হাদিসে আছে, যখন দেখবে মক্কার বিল্ডিংগুলো মক্কার পাহাড় থেকে উচু হয়ে গিয়েছে তখন কাবা শরিফ এমন ভাবে ধ্বংশ হয়ে যাবে যে একটা ইটও এর জায়গায় থাকবে না। এর পর ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর করে এটাকে পূনঃ নির্মান করা হবে।
৩
উত্তর কোরিয়া নতুন মিসাইল ছুড়েছে। এটা দ্বিতীয় intercontinental ballistic missile. আমরিকা বলছে এটা আমেরিকা পর্যন্ত পৌছতে পারবে। কিন্তু উত্তর কোরিয়া এখনও তাদের এটম বোমাগুলো এত ছোট করতে পারে নি যে মিসাইলে ফিট করবে। এর জন্য আরো এক বছর লাগবে। আম্রিকার কথা।
৪
তবে রাশিয়া আর আম্রিকা যে মিসাইলগুলো একে অপরের দিকে তাক করে রেখেছে, এগুলো সৌদিদের মত ইন্টারসেপটর দিয়ে ফেলে দেয়া যায় না। কারন হুতিদের মিসাইল চলে প্লেনের গতিতে। আর রাশিয়ার গুলো চলে এর ৪০ গুন বেশি স্পিডে। ম্যক ৩০ -- শব্দের বেগের ৩০ গুন।
৫
ICBM গুলো প্রথম তিন মিনিটে এর রকেটের সব ফুয়েল পুড়িয়ে প্রচন্ড গতি তুলে ফেলে। এর পর ছুড়ে দেয়া বুলেটের মত উড়তে থাকে কোনো ইঞ্জিন ছাড়া। ৩০ মিনিট লাগে রাশিয়া থেকে আমেরিকায় আঘাত করতে।
৬
এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হলো "তুমি যদি আমাকে মারো, আমিও তোমাকে শেষ করে ফেলবো" স্টাইলের এটিচিউড দেখানো। এর জন্য শুধু একটা এটম বোমা দিয়ে কাজ হয় না। একটা মারলে নিজেই ধ্বংশ হয়ে যাবে পাল্টা আঘাতে। একসাথে শত শত এটম বোমা মারতে হয় যেন ঐ দেশ এমন ভাবে ধ্বংশ হয়ে যায় যে পাল্টা কোনো পারমানবিক মিসাইল ছুড়তে না পারে।
৭
৬০ দশকে এটা নিয়ে কমুনিস্ট রাশিয়া আর আমেরিকার মাঝে স্নায়ু যুদ্ধ চলতো। "মারলাম কিন্তু, শেষ করে দেবো" "আমিও মারলাম"। এটাকে এজন্য বলে cold war. কেউ মারে না কিন্তু ভয় দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে চুপ রাখে।
৮
নিজের দেশ যদি ধ্বংশ হয়ে যায়, তবে এরও প্রোটেকশন আছে। সাবমেরিন থেকে শত্রু দেশের প্রতি পারমানবিক মিসাইল ছোড়া। আমার দেশ হয়তো মাটির সাথে মিশে গিয়েছে, সাবমেরিন তো আর ধ্বংশ হয় নি।
৯
কিন্তু দেশ ধ্বংশ হয়ে গেলে সাবমেরিন ওয়ালাদের কে জানাবে মিসাইল ছুড়ার কথা? এর সমাধান হিসাবে ব্রিটেন তার সাবমেরিনগুলোকে বলে দিতো যদি দেখো BBC বন্ধ হয়ে গিয়েছে তবে ধরে নেবে দেশ ধ্বংশ হয়ে গিয়েছে। রাশিয়ার দিকে মিসাইল ছুড়বে। :-)