চট্রগ্রামের খবর:
বাসের হেল্পার বললেন, ‘আরও ঘণ্টাখানেক লাগবে আগ্রাবাদ পার হতে। এখন জোয়ার চলছে। ভাটা লাগলে রওনা।’ বাস কর্মচারীর মুখে জাহাজের সারেংয়ের কথা শুনে তাজ্জব।
স্থানীয় দৈনিকের পাতায় বক্স নিউজে শহরের কোথায়, কখন জোয়ার-ভাটা হবে, তার পূর্বাভাস ও সময়সূচি। চট্টগ্রামবাসীর কোনো কাজে বের হওয়া এখন জোয়ার-ভাটার সময়ক্ষণকে আমলে নিয়েই করতে হচ্ছে।
কাজ সেরে হালিশহরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেই শোনা গেল, সেখানে জোয়ার শুরু হয়েছে। পানি কোমর পেরিয়ে গলা পর্যন্ত উঠেছে। কোনো গাড়ি ওই এলাকায় যাচ্ছে না। রাস্তার মধ্যেই পানি ৫ থেকে সাড়ে ৫ ফুট পর্যন্ত উঠে গেছে। বেশির ভাগ অফিসের নিচের তলা ডুবে গেছে।
আগ্রাবাদে বেশির ভাগ ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। যতক্ষন জোয়ার থাকে, ততক্ষণ সেখানে বিদ্যুৎও থাকে না।
আগ্রাবাদ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঘুটঘুটে অন্ধকার। টর্চলাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন। সকাল থেকে কোমরপানি। প্রতিদিন অফিসে আসার সময় সঙ্গে এক সেট কাপড় নিয়ে আসেন।