Post# 1498614546

28-Jun-2017 7:49 am


প্রসঙ্গ : মধ্যপ্রাচ্য


৬০ বা ৭০ দশকের আধুনিকতা ও ব্যক্তি স্বাধিনতার যুগে সে চেতনা মধ্যপ্রাচ্যেও আঘাত হানে। সৌদি ইরান এই ধরনের দেশগুলো ওয়েস্টার্ন কালচার, মিউজিক আর ড্রেসে অভ্যস্ত হতে থাকে।

তবে সে দেশের কনজারভেটিভরা এটা পছন্দ করে না। ১৯৭৯ সালে সৌদিতে ঘটে হারাম দখলের ঘটনা আর ইরানে রেভুলেশন।


এর পর সৌদি সরকারকে বুঝানো হয় আপনারা নিজেরা ব্যক্তি জীবনে যাই করেন না কেন জনগন ইসলামি ভাবে থাকতে চায়। এটা যদি না করেন তবে আপনারাও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এরকম ঘটনা আরো বড় বড় করে ঘটবে।

আসে সৌদি রিলেজিয়াস পুলিস।


সৌদি হাই'য়া বা মুতাওইয়া বা রিলেজিয়াস পুলিশ গত কয়েক বছর আগ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছিলো। অনৈসলামিক কিছু দেখলে শাস্তি।

এর পর বিন-সালমান দেশের ক্ষমতায় আসেন। সৌদিকে আধুনিক করার জন্য রিলেজিয়াস পুলিশ বন্ধ করে দেন। অফিসিয়ালি সংগিত অনুষ্ঠান করে দেশে মিউজিক বৈধ ঘোষনা করেন। "চিত্তবিনোদনের দরকার আছে।" কথা চলছে কিছু সিনামা হলও দেয়া যায় কিনা।

এর পর হয়তো এরকম আরো অনেক কিছু তাদের প্লেনে আছে। Vision 2030.


দোকানে লাউড মিউজিক বাজিয়ে বিক্রি করা এখন স্বিকৃত ব্যবসা। কিছুদিন আগেও এটা ছিলো নিষিদ্ধ।

সৌদি সোসাইটি এই পরিবর্তন কতটুকু মানতে পারবে এটা প্রশ্নবিদ্ধ। একটা কলিশন অবধারিত। ইন্টারেস্টিংলি ১৯৭৯ সালে জুহাইমানের কাজগুলোর একটা ক্যটালিস্ট ছিলো সৌদিতে দোকানে ওয়েস্টার্ন মিউজিক বাজানোর বিরোধিতা।


প্লাস, মধ্যপ্রাচ্যে একটা পোলারাইজেশন হচ্ছে। এক দিকে কাতার, ইরান, তুরস্ক। অন্যদিকে মিশর, সৌদি, আমিরাত।

মুসলিমদের মূলধারা এ দুয়ের মাঝে কারা?

সৌদি ১০ দিনের ডেডলাইন দিয়েছে যেটার হয়তো আর ৫ দিন আছে। কাতার এগুলো মানবে না। এবং সৌদি আর কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না।

Watching.

28-Jun-2017 7:49 am

Published
28-Jun-2017