দান:
১
আমাদের সময়ে স্কুলের পাঠ্যে "রিলিফ ওয়ার্ক" নামে একটা গল্প পড়িয়েছিলো। আবুল মনসুর আহমেদ নামক এক লিখকের লিখা। দেখায় রিলিফের সব মাল কি করে বিতরনকারীরা খেয়ে ফেলে। গরিব লোক কিছু পায় না।
২
মাদ্রাসার ছাত্ররা বাসায় বাসায় চাল আদায় করে। ওস্তাদকে বললাম,
: মাসে কত টাকার চাল এইভাবে আদায় করেন?
: দুই হাজার টাকার।
এটা আমি দেবো। এভাবে আর ভিক্ষা করাবেন না ছাত্রদের দিয়ে।
কয়েক মাসের টাকা একবারে করে দিয়ে দেই। ওস্তাদের হাতে।
এর পর মাদ্রাসার হাফেজ সাহেব, কমিটি আর উস্তাদের মাঝে ঝগড়া। "টাকা সে রেখেছে", "ফান্ডের খবর নেই" এই সব কথা দিয়ে।
হাফেজ সাহেব বললো এই টাকা কিছু পাই না।
কছু দিন পর টাকা নিয়ে কমিটি ভাঙ্গন। নতুন কমিটি।
নতুন কমিটি এসে বললো
: ছাত্ররা আল্লাহর রাস্তার মেহমান। একদিন এসে দেখবেন তারা কি পান্তা ডাল খায়। পারলে কিছু সাহায্য করবেন, আল্লাহ আপনাকে অনেক দিয়েছে।
কিছু বললাম না।
জানি লক্ষ টাকা দিয়েও এ ছাত্রদের খাবার উন্নত করতে পারবো না।
সেই, রিলিফ ওয়ার্ক।
৩
"মসজিদের জন্য সাহায্য করেন ভাই", রশিদ নিয়ে।
জানি এই টাকার ৯০% পাবে এই আদায়কারী। বাকি ১০% মসজিদ কমিটি। কমিটি এর পর কিভাবে ভাগ করে সেটা জানি না।
৪
"ভাই এই অন্ধ ফকিরের জন্য দান করেন।"
ফকিরকে সে কি চুক্তিতে নিয়ে এসেছে আমি জানি না। তবে ফকির যদি একা না এসে থাকে তবে তার সংগের সোশিয়ালি স্মার্ট পার্টনার এর ক্রিমটা নিয়ে নেবে। অন্ধ ফকির শুধু তার ব্যনারের কাজ করছে। কিছু পাবে।
৫
রাস্তায় খুব গরিব একটা ছেলে ছেড়া প্যন্ট পড়ে খেলছে। এর পরও তাকে সাহায্য করার উপায় নেই। তার হাতে টাকা দিলে সেটা থেকে কোনো উপকার পাবে না। তার মা নিয়ে নেবে। বা পাশের আরো বড় ছেলেটা কেড়ে নেবে। এটা সে রাখতে পারবে না।
যদিও সে ভিক্ষা চাচ্ছে।
৬
এরকম আরো বহু বহু কাহিনী দেখেছি। লিখে শেষ করা যাবে না।
৭
রিলিফ ওয়ার্ক।
প্রতিটা ধাপে।
কাকে জাকাত দিচ্ছেন বুঝে দিবেন।
জাকাতের টাকা দিয়ে মসজিদ মাদ্রাসা তৈরি করা যায় না।
ওস্তাদের বেতন দেয়া যায় না।
গরিবের হাতে পৌছতে হয়। তাকে দানের জন্য কোনো শর্ত না দিয়ে।
#HabibSays