১
Uncanny valley বলে Robotics এ একটা জিনিস আছে।
বৈজ্ঞানিকরা প্রথমে একটা রোবোট বানায়। বাক্সের মত।
মানুষ এটা পছন্দ করে।
এর পর এতে চাকা লাগায়, চোখের জায়গায় দুটো লাইট দেয়।
মানুষ আরো বেশি পছন্দ করে।
হাত পা দেয় মানুষের মত। মানুষের পছন্দ বাড়ে।
আর্থাৎ রোবোটটা দেখতে যত বেশি মানুষের মত হয়, মানুষ সেটাকে তত বেশি পছন্দ করে।
শেষ? না।
এর পর তারা সেটাতে সিলিকন দিয়ে মানুষের চেহারা দেয়।
এবং লক্ষ্য করে মানুষের পছন্দ বাড়ে নি বরং হটাৎ করে সেটাকে প্রচন্ড অপছন্দ করা আরম্ভ করেছে।
কারন কি?
কারন বের করে, যখন রোবোটটা খুব বেশি মানুষের মত দেখতে হয়ে যায়, তখন মানুষ রোবোটের কাছ থেকে হুবহু মানুষের মত কথা-আচরন আশা করে। এটা না পেলে তারা ভয় পেয়ে যায়।
হুবহু মানুষের মত কথা-আচরন এটাতে দিতে পারলে, মানুষ আবার তাকে পছন্দ করা আরম্ভ করে। যেমন এক মানুষ অন্য মানুষকে পছন্দ করে।
কিন্তু হুবহু মানুষের মত আচরন তো একটা রোবোট করতে পারবে না!?
সেজন্য বৈজ্ঞানিকরা স্বিদ্ধান্ত নেয় রোবোট বানানোর সময় মানুষের আকৃতি দিতে হবে, কিন্তু একটা লিমিট পর্যন্ত। এর বেশি না।
এর বেশি দিলে মানুষ একে অপছন্দ করা আরম্ভ করবে।
২
: মসজিদে ফজরের পরে জিকির হয়। মাঝে মাঝে তাদের সাথে বসতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আমার ইচ্ছে নেই তাদের দলে যোগ দেবার।
: তাহলে বসো না।
: কেন?
: যখন তুমি তাদের সাথে কিছু বসা আরম্ভ করবে তারা তোমার কাছে দ্রুত পূর্ন আনুগত্য চাবে। সেটা যদি তুমি তাদের না দাও, তবে তারা তোমাকে প্রচন্ড অপছন্দ করবে।
সব দলের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখবে। প্রতিটা দলের থেকে তাদের ভালোটা নেবে। কিন্তু কোনো দলের এত কাছে যাবে না যে তুমি তাদের uncanny valley তে পড়ে যাও।
বেশি কাছে গেলে তারা মনে করবে তুমি তাদের দলে, কিন্তু দলের পক্ষে কাজ করছো না। তারা তোমাকে ছুপা মনে করবে, ফিতনাবাজ!
তুমি দেখতে পাবে, যেই লোক শুধু তাদেরকে সালাম দেয় আর মুসাহাফা করে, ভালো কথা বলে, ঐ লোকের সাথে তারা ভালো ব্যবহার করবে।
কিন্তু তোমার সাথে তারা খারাপ ব্যবহার করবে।
৩
: ফেসবুকে অনেক দল। সব দলের কিছু কাজ ভালো কিছু কাজ খারাপ। ভালোগুলোর প্রসংসা করতে পারি?
: করো কিন্তু এত বেশি না যে তুমি তাদের uncanny valley তে পড়ে যাও।
: নিউট্রাল থাকতে বলছেন?
: না। নিউট্রাল থাকবে না। পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের মাঝে তুমি থাকবে মুসলিমদের পক্ষে।
- Comments:
- see "monkeysphere", which explains it.