[ অনুবাদ ]
জানেন, কেন কোরআন পড়লে চোখে পানি আসে না?
এই গল্পটায় এর উত্তর আছে।
ইমাম আহমেদ বিন হাম্বল কাছে একদিন খবর আসে উনার এক ছাত্র সারা রাত নামাজে পড়ে এবং সম্পুর্ন কোরআন খতম করে। ফজর পর্যন্ত। এর পর ফজরের নামাজ পড়ে।
ইমাম কোরআনের আদব শেখানো জন্য তার কাছে আসেন।
বলেন,
: তোমার ব্যপারে জানলাম, তুমি নাকি এরকম কর?
: হ্যা, ইয়া ইমাম।
: তাহলে আজকে যাও। এবং রাতে নামাজ পড় যেভাবে অন্যান্য দিন পড়ো। শুধু আজ এমন ভাবে পড়বে যেন তুমি আমাকে কোরআন শুনাচ্ছো। মানে আমি তোমার পড়া শুনছি। এর পর কাল এসে আমাকে বলবে কি হয়েছে।
পর দিন ছাত্র আসে। ইমাম জিজ্ঞাসা করে।
ছাত্র জবাব দেয়,
: আজকে আমি ১০ পারাও শেষ করতে পারি নি।
ইমাম বলেন,
: তবে আজকে যাও। আজকে এমন ভাবে পড়বে যেন তুমি রাসুলুল্লাহ ﷺ কে শুনাচ্ছো।
সে যায়। পরের দিন আসে,
: হে ইমাম। আজকে আমি আম-পারাও শেষ করতে পারি নি।
: তবে আজকেও যাও। আজকে পড়বে এমন ভাবে যেন তুমি আল্লাহ আজ্জা জাল্লাহুকে পড়িয়ে শুনাচ্ছো।
ছাত্র অবাক হয়ে চলে যায়। পর দিন আসে।
তারা চেহারায়, রাত জাগা আর কান্নার চিহ্ন।
ইমাম জিজ্ঞাসা করেন,
: আজকে কি হলো, বৎস!
কান্না করতে করতে ছাত্র জবাব দেয়,
: হে ইমাম। ওয়াল্লাহ! আজ সারা রাতেও আমি সুরা ফাতিহা শেষ করতে পারি নি। করার জন্য করা না, বরং সম্মানের সাথে কোরআন খতম করতে হবে।
[ মূল আরবী ]
https://www.facebook.com/qsas.3br/photos/a.295126890635007.1073741828.295125357301827/780847142062977/?type=3&permPage=1
#HabibTranslation
- Comments:
- কুরআনিক আরবী আর কথ্য আরবীর একটা পার্থক্য ছোটবেলায় খেয়াল করেছিলাম।
আমাদের ফাতহা বা জবর এর উচ্চারন কথ্যতে শেখানো হতো "এ" এর মত।
কিন্তু কোরআন পড়ার সময় শেখানো হয়েছে সব জায়গায় "আ" এর মত হবে।এজন্য কথ্যতে নামটা "আহমেদ" ডাকা হয়। এই রকম ফায়ালা এর বদলে আমরা বলি ফেয়েলে।
তবে এটা আঞ্চলিকতার জন্যও হতে পারে।
- হাম্বল Corrected, জাজাকাল্লাহ।
- ইউটুবে আরবরা কথা বলার সময় ফাতহা কিভাবে উচ্চারন করে শুনলে নিশ্চিত হতে পারবেন।