গল্প: বিচক্ষন চাষী
এক রাজা এক দিন রাজ্য দেখতে বেরুলেন।
এক কৃষককে দেখেন জমি চাষ করছে।
খুব আনন্দ উৎসাহ নিয়ে গান করতে করতে।
রাজা বলেন,
: এই যে ভাই। খুব খুশি মনে গান করতে করতে চাষ করছো দেখতে পারছি। এটা তোমার জায়গা?
: না জনাব! আমি দৈনিক হিসাবে কামলা খাটি।
: এত কষ্টের জন্য রোজ কত করে নাও?
: দৈনিক চার পয়সা।
: এতে চলে যায়?
: হ্যা! বরং হয়ে আরো বেশি হয়।
তাই,
এক পয়সা নিজের জন্য।
এক পয়সা ঋন পরিশোধের জন্য।
এক পয়সা নিঃস্বার্থ ভাবে ঋন দেই।
আর এক পয়সা ফি সবিলিল্লাহ খরচ করি।
: ধাধাটা বুঝলাম না!
: বুঝিয়ে বলছি জনাব।
যে পয়সা নিজের জন্য - সেটা আমি আর আমার স্ত্রীর জন্য খরচ করি।
যে পয়সা ঋন পরিশোধের জন্য - সেটা আমার পিতা আর মাতার জন্য খরচ করি।
তারা ছোটকালে আমাকে পালন করেছে,
আমার জন্য খরচ করেছে,
তখন আমি তাদের উপর নির্ভরশিল ছিলাম।
এখন তারা বৃদ্ধ, কাজ করতে পারে না।
আর যে পয়সা নিঃস্বার্থভাবে ঋন দেই
সেটা ঐ পয়সা যেটা আমার সন্তানদের জন্য খরচ করি।
তাদেরকে খাইয়ে পড়িয়ে বড় করি।
যতক্ষন না তারা বড় হয়ে সেই ঋন আবার আমাদের পরিশোধ করে।
আর যে পয়সা ফি সাবিলিল্লাহ,
সেটা আমার দুই বোনের জন্য খরচ করি যারা অসুস্থ।
রাজা বললেন,
: খুব ভালো কাজ করছো ভাই।
তাকে কিছু টাকা দিয়ে চলে আসলেন।
সে অবাক! এই কৃষকের সরল যুক্তি শুনে।
[ মূল আরবী ]
https://www.facebook.com/qsas.3br/photos/a.295126890635007.1073741828.295125357301827/778696892278002/?type=3