কোরআনের এক উস্তাদ এক মসজিদে এই ঘটনা বলছিলেন,
একদিন আমার কাছে ছোট একটা ছেলে আসে। মাদ্রাসায় ভর্তি হতে চায়।
তাকে জিজ্ঞাসা করলাম,
: কোরআন থেকে কিছু কি তোমার মুখস্ত আছে?
বললো
: হ্যা।
: তাহলে আম পারা থেকে শুনাও।
সে শুনালো।
এর পর বললাম,
: সুরা তাবারাকাল্লাজি মুখস্ত আছে?
এটাও মুখস্ত শুনিয়া আমাকে অবাক করে দিলো।
যদিও তার বয়স কম ছিলো।
এর পর জিজ্ঞাস করলাম
: সুরা নাহল?
এটাও তার মুখস্ত!
আমি আরো আশ্চর্য হলাম।
ধরে নিলাম লম্বা সুরাগুলো তাকে শিখাবো।
জিজ্ঞাসা করলাম
: সুরা বাকার তোমার মুখস্ত আছে?
সে আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো
: হ্যা।
এর পর শুনালো কোনো ভুল ছাড়া।
জিজ্ঞাসা করলাম,
: ছেলে! তুমি কি কোরআন হাফেজ?
সে বললো,
: হ্যা।
সুবহানাল্লাহ। ওয়া মা শায়াল্লাহ তাবারাকা আল্লাহ।
তাকে বললাম কালকে তোমার অবিভাবকে নিয়ে এসো।
আমি একেবারে তাজ্জব!
কিভাবে এই পিতা এটা সম্ভব করলো!
এর পর আরো বড় আশ্চর্য। তার পিতা আসলেন। কিন্তু উনার চেহারায় আমি সুন্নাহর কোনো চিহ্ন পেলাম না।
আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে উনি বললেন
: আমি বুঝতে পারছি আপনি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন আমি উনার বাপ এটা দেখে। আমি আপনার কনফিউশন দূর করছি।
এই ছেলের পেছনে আছে এক মহিলা যে কিনা হাজার পুরুষের সমান। আরো ভালো কথা, আমার বাসায় আরো তিন মেয়ে আছে, যারা সবাই হাফিজে কোরআন। আমার সবচেয়ে ছোটো মেয়ের চার বছর বয়স হলো। সে আমপারা মুখস্ত করে ফেলেছে।
আমি আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম
: কিভাবে এটা হলো?
বললো,
: আমার বাচ্চারা প্রথম যখন কথা আরম্ভ করে, তাদের মা তখন তাদের কোরআন শিখিয়ে আরম্ভ করে।
এবং এর পর তাদের কোরআন মুখস্ত করতে উৎসাহ দিতে থাকে।
প্রতি দিন যে মুখস্তে প্রথম হয় তাকে সে ঐ রাতে খাবার চয়েস করতে দেয়।
প্রতি সপ্তাহে যে শুনানিতে প্রথম হয় তার পছন্দ মত জায়গায় শুক্রবার নিয়ে যায়।
আর যে প্রথম খতম করতে পারে তাকে চয়েস দেয় বছরের শেষে ছুটিতে কোথায় ঘুরতে যাবে।
এই ভাবে তাদের মাঝে হিফজ আর শুনানোর প্রতিযোগিতা আরম্ভ করে দেয়।
হ্যা! এই হলো সেই পবিত্র মহিলা যে তার নিজের ঘরে পবিত্রতা নিয়ে এসেছে।
[ নিচের স্টেটাসের অনুবাদ ]
https://www.facebook.com/qsas.3br/photos/a.295126890635007.1073741828.295125357301827/772267972920894/?type=3&theater
#HabibTranslation