মাজহাবগত পার্থক্য - ৭ : ওজু
১
সবচেয়ে বড় দুটো পার্থক্যের প্রথমটা হলো সালাফিরা নাইলনের মুজার উপর মসেহ করা জায়েজ মনে করে। হানাফিরা করে না, শুধু মাত্র চামড়ার মোজার উপর মসেহ জায়জে মনে করে।
এটা নিয়ে সমস্যা হয় কারন মদিনা ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা সবাই কালো মুজা পড়ে থাকে এবং হজ্জের সময় উনারা বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ান। উনাদের পেছনে নামাজ হবে কিনা এ প্রশ্নটা তোলা হয়।
২
দ্বিতীয় পার্থক্য হলো সালাফিদের মতে ওজুর সময়ে ঘাড় মসেহ বিদআহ। এর এক্সট্রিমে গিয়ে বলা হয় ওজু সময়ে ঘাড় মসেহ করলে ওজু, নামাজ, হজ্জ, তোয়াফ কিছুই হবে না। মতিউর রহমান মাদানী দা: বা: এর ভিডিও উল্লেখ যোগ্য, যার লিংক এখানে।
https://www.youtube.com/watch?v=Ib8S_i2xI_M
হানাফিদের মতে ঘাড় মসেহ বিদআহ না। বরং মোবাহ বা মুস্তাহাব। তবে সুন্নাহ না। এবং হানাফিরা সবাই ঘাড় মসেহ করে।
৩
এর বাইরে যে যার মতো আমল করে কিন্তু সমস্যা হয় না যেগুলোতে।
নিয়ত:
সালাফিদের মতে নিয়ত ফরজ। নিয়ত ছাড়া ওজু হবে না।
হানাফি: নিয়ত ফরজ না। ওজুর ইচ্ছে ছাড়া যদি কেউ ওজুর অংগগুলো ধুয়ে ফেলে তবে তারও ওজু হয়ে যাবে।
তবে নিয়ত মুখে বলার দরকার নেই কোনো মাজহাবেই।
৪
সালাফি মতে গোসল করলে ওজু হয় না। বরং গোসলের আগে মানুষ যে ওজু করে নেয় সেটার কারনে তার ওজু হবে। ঐ ওজু না করলে গোসলের পরে তাকে আবার ওজু করতে হবে।
হানাফি মতে: গোসল করলে ওজু হয়ে যায়। ফরজ গোসল হোক বা সুন্নাহ।
৫
আরেকটা বড় পার্থক্য হলো
সালাফি মতে: ওজুর কুলি আর নাকে পানি দেয়াও ফরজ, বা ওয়াজিব। না দিলে ওজু হবে না।
হানাফি মতে: এদুটো সুন্নাহ। কেউ কোনো কারনে না করলে ওজু হবে।
৬
এর বাইরে ওজু ভাঙ্গার কারনে কিছু পার্থক্য আছে। যেটা আর এখানে লিখলাম না।
#HabibDiff
- Comments:
- আমি ৫ ফিট ৩ থেকে আরম্ভ করছিলাম। :-P