Post# 1484459672

15-Jan-2017 11:54 am


Noah মুভি দেখে একজন কনফিউজড। আসল কাহিনী জানতে চাচ্ছেন।

ফিল্মটা আমি দেখি নি, শুধু রিভিউ পড়েছি নেটে। তার উপর পার্থক্যগুলো বলছি।


ইসলামে নুহ আ: ছিলেন একজন নবী। "ইন্না আরছালনা নুহান ইলা কাওমিহি..."
ফিল্মে বলা হয়েছে উনি সাধারন আল্লাহর বান্দা ছিলেন। খৃষ্টানরা উনাকে নবী হিসাবে মানেন না।


ইসলামে হারুত মারুত নামক দুই ফিরিস্তার কথা আছে যারা দুনিয়াতে নেমে এসেছিলো। এতটুকু। তাদের বাকি কাহিনীর বর্ননা নেই। কোনো কোনো আলেম বর্ননা করেন তাদের পাহাড়ের ভেতর শাস্তি দেয়া হচ্ছে। সাধারন ভাবে আমরা বিশ্বাস করি ফিরিস্তাদের আল্লাহর হুকুমের অবাধ্য হবার শক্তি নেই।

খৃষ্টান ধর্মে বিশ্বাস করা হয় পাপের জন্য ফিরিস্তাদের আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে ফেলে দেন শাস্তি হিসাবে। এরা হলো Fallen angels. এদের সংখ্যা অসংখ্য। এবং তাদের থেকে নুহ আ: খবর পান বন্যা আসবে।


ইসলামে: নুহ আ: কওমের মাঝে বছরের পর বছর দাওয়াহ দিয়েছিলেন। অল্প কিছু মানুষ ছাড়া অন্যরা দাওয়াহ গ্রহন করে নি। তারা মূর্তি পুজা করতো। এর প্রায় ১ হাজার বছর দাওয়াহ দেবার পর উনি আল্লাহ কাছে দোয়া করেন "হে আল্লাহ তারা কেউ আর ঈমান আনবে না, আপনি তাদের ধ্বংশ করে দিন।"

ফিল্মে দেখানো হয়েছে, মানুষ সবাই ইমানদার, কিন্তু পাপি। এজন্য আল্লাহ তায়ালা পরিকল্পনা করেন মানুষকে ধ্বংশ করে দেবেন। এবং পরিকল্পনা করার পর নুহ আ: কে পাঠিয়েছিলেন দাওয়াহর জন্য না, বরং শুধু নৌকা বানানোর জন্য।


ইসলাম বলে: কাফেররা নুহ আ: এর বন্যার কথা অবিশ্বাস করেছিলো। হাসাহাসি করেছিলো। এমন কি বন্যা আরম্ভ হয়ে যাবার পরও ধারনা করেছিলো, আমাদের নৌকা লাগবে না এটা সাধারন বন্যা, পাহাড়ে উঠলে শেষ হয়ে যাবে।

ফিল্মে দেখানো হয়েছে, তারা বিশ্বাসি ছিলো, নৌকায় উঠতে চেয়েছিলো। কিন্তু নুহ আ: যুদ্ধ করে তাদের নৌকায় তুলেনি, কারন "আল্লাহর ইচ্ছা সমস্ত মানুষকে ধ্বংশ করা।"


ইসলামে: নুহ আ: নৌকায় ৮০ জনের মত ইমানদারদের তুলেছিলেন। উনার এক ছেলে উঠে নি কারন সে কাফের ছিলো।

ফিল্মে দেখিয়েছে উনার পরিবার ছাড়া কাউকে তুলে নি।


ড্রামাটাইজ করার জন্য ফিল্মে দেখানো হয়েছে খারাপদের একজন জোর করে নৌকায় ঊঠে যায় এর পর ফাইট।

ইসলামে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।


ফিল্মে দেখিয়েছে নুহ আ: নৌকায় জন্ম নেয়া শিশুদের ছুরি দিয়ে হত্যা করতে চান। কারন তারা ছিলো মেয়ে, মানুষের বংশ বিস্তার হবে। এবং উনি বিশ্বাস করতেন আল্লাহ তায়ালা এটা চান না বরং চান সমস্ত মানুষ ধ্বংশ হয়ে যাক।

ইসলাম বলে, নৌকায় ৮০ জনের মাঝে ছেলে মেয়ে উভয়ই ছিলো। নৌকা থেকে নামার পরে তারা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে বংশ বিস্তার করা আরম্ভ করে। কোনো নিষেধ ছাড়া। বরং ছড়িয়ে পড়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রত্যেক জোড়ার ভাষা ভিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছিলেন। যেন এক সাথে না থাকে।


ইসলামে বলে নুহ আ: পরবর্তিতে কিছু আফসোস করেছিলেন নিজের দোয়ার জন্য। এবং উনি আল্লাহর একজন মুখলেস বান্দা ছিলেন সর্বদা।

ফিল্মে দেখিয়েছে বন্যার শেষে নুহ আ: মনের দুঃখে নিঃসংগে গিয়ে মদ্যপ হয়ে যায়।

এই পার্থক্য।

    Comments:
  • Responding on it will be long. I shall try to write a post on it, insha Allah.

15-Jan-2017 11:54 am

Published
15-Jan-2017