১
ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়।
এক ছেলে একদিন গোল্ডের চেইন পড়ে আসলো।
"গোল্ডের চেইন পড়া ছেলেদের জন্য তো হারাম।"
"মুসাফিরের জন্য পড়া জায়েজ আছে। কারন যদি তার টাকা হারিয়ে যায় তবে স্বর্ন বিক্রি করে বাসায় ফিরে আসতে পারবে।"
কিন্তু সে যে এখন মুসাফির না সেটা আর তাকে বললাম না। তার কাছে তার যুক্তি আছে ধরে নিচ্ছি।
২
"ভাই জিহাদ তো খলিফা-সরকার ছাড়া হয় না।"
"ডিফেন্সিভ জিহাদে খলিফা লাগে না। কাফেররা আক্রমন করলে নিজে নিজে যুদ্ধ করা যায়।"
এদেশে যে কাফেররা আক্রমন করে নি সেটা বললাম না। তার কাছে তার যুক্তি আছে ধরে নিচ্ছি।
৩
ফেসবুকে এক ছুন্নি ভাইয়ের সাথে কথা।
"আপনারা যে বলেন রাসুলুল্লাহ ﷺ সর্বত্র বিরাজমান এবং উনার শরীর মুবারক মাটির বদলে নূর দ্বারা তৈরি ছিলো। কিন্তু কোরআন শরিফে তো আছে _____। এবং আমাদের উস্তাদরাও বলে গেছেন ______"
জবাব দিলো,
"আপনাদের দেওবন্দি আলেম আর আমাদের আলেমদের মাঝে পার্থক্য কি জানেন? আপনাদের আলেমরা কোরআন শরিফ পড়তো কি করে নবীর সম্মানকে খাটো করা যায় সেটা খুজার জন্য। আর আমাদের আলেমগন পড়েন কি করে নবীর সম্মানকে বাড়ানো যায় সেটা বের করতে।"
হুম। এটিচিউড। পার্থক্য আছে।
আমি খাটো বা উচু না। সত্যকে খুজতে থাকি।
৪
এক ভাই আমাকে বললো,
"আপনি কোরআন হাদিস পড়েন কি করে জিহাদ থেকে গা বাচানো যায় সেটা খুজতে। আর আমরা পড়ি এর পক্ষে প্রমান খুজতে। এ জন্য আপনি শুধু ঘরে বসে থাকার হাদিস আর ফতোয়াগুলো পান। কারন কোরআন থেকে যে যেটা চায় সে সেটার পক্ষে প্রমান খুজে বের করতে পারবে।"
হুম।
পক্ষে বিপক্ষে না। সত্যটা তাহলে কি করে বের করতে হবে বলে আপনার ধারনা?
প্রশ্নটা উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম না।
উনি মাথা গরম মানুষ। তর্ক বাড়বে। :-)