১
৮০র দশকে এই দেশে এরকম বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটেছিলো। পত্রিকায় নিউজ হয়ে।
কোনো গ্রামে কোনো মহিলা জিনা করেছে। গ্রামের মসজিদের ইমাম বললো তাকে পাথর ছুড়ে হত্যা করতে হবে। এর পর তাকে নিয়ে মাটিতে পুতে বললো পাথর ছুড়ে হত্যা করো। বলা হলো কেউ যদি না ছুড়ে তবে সে কাফের।
এভাবে তাকে মারা হলো। এবং শরিয়া বিচার কায়েম হলো। ঠিক?
না ভুল।
পাথর ছুড়ে হত্যার আদেশ শুধু সরকার থেকে নিযুক্ত বিচারপতি দিতে পারবেন। অন্য কেউ না। মসজিদের ইমাম কোনো সরকারী বিচারক না।
২
"কিন্তু যদি দেশে ইসলামি আইন না থাকে?"
তখন কি করতে হবে সেটাও আলেমরা বলে দিয়ে গিয়েছেন। তখন ঘরে বসে থাকতে হবে। কিছু করার নেই। দেশে ইসলামি শাসন নেই, তাই আমি নিজে বিচারক বনে গিয়ে চোরের হাত কেটে দিলে ঐ রকম ইসলাম কায়েম হবে না, যেরকম না কাটলে কায়েম হতো না।
আল্লাহর হুকুম ঠিক আছে। কিন্তু এটা ইমপ্লিমেন্টের দায়িত্ব যার উপর সে সেটা না করলে, আমি যদি অথরিটি ছাড়া আগ বাড়িয়ে করি, তবে হুকুম প্রতিষ্ঠিত তো হবেই না, বরং দুটো হুকুম ভাঙ্গা হবে।
"শুধু মাত্র সরকারী কাজীর উপর এটা বলছেন কেন?"
শরিয়ার কিতাবে লিখা আছে তাই। যে কোনো শরিয়ার বই খূলে দেখে নিতে পারেন।
"কি লিখা আছে?"
যে শুধু মাত্র সে দিতে পারবে। অন্য কেউ না। এবং এই ধরনের হুকুম দেবার জন্য সরকারী কাজী হওয়া একটা শর্ত। আরো শর্ত আছে, সেগুলোর আলোচনা আনলাম না।
৩
কাফেরদের সাথে যুদ্ধ, হত্যা নিয়ে বহু ফতোয়া নেটে।
সবগুলোর একটাই সমস্যা -- এগুলোর এক্সিকিউশনের দায়িত্ব শুধু মাত্র মুসলিমদের খলিফার উপর। সাধারন নাগরিকদের উপর না। খলিফা যদি ডাক দেয় তবে তার সাথে জয়েন করে এই কাজগুলো করতে হবে। ডাক না দিলে ঘরে বসে থাকতে হবে।
খলিফা নেই। তাই আমি নিজে খলিফা, বা আমার বড় ভাই খলিফা, বা আমার দলের নেতাকে খলিফা বানিয়ে নিলে ১ নং পয়েন্টের সমস্যা হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের বিপথগামীদের দ্বারা প্রতারিত হওয়া থেকে রক্ষা করুন।
- Comments:
- কাফের বাদ দেন। আমার প্রতিবেশি মুসলিমও এখন যদি আমাকে মারতে আসে তখন কি ঘরে বসে থাকবো? এই ব্যপারে হুকুম কি সেটা আমরা আগে বের করি।
- তারা কি কারন দেখিয়ে কি ফতোয়া দিয়েছিলেন সেটা পড়তে হবে। এবং তাদের উত্তরসূরি বর্তমান আলেমরা কি কারন দেখিয়ে কি ফতোয়া দিচ্ছেন সেটা পড়তে হবে।
এগুলো না পড়ে assume করে নিলে নিজের মন গড়া ফতোয়া হবে।