১
গল্পের শেষে বাচ্চাটা জিজ্ঞাসা করে, "এই পাওয়ার গুলো কিভাবে পেলো?"
বক্তা বলে, "জানি না। তবে শুনেছি অনেক ইবাদত করার পর আল্লাহ কাছে চাইতে হয়। হে আল্লাহ এই ইবাদতের বিনিময়ে আমি তোমার কাছে তিনটা জিনিস চাইবো। এর পর আল্লাহ তায়ালা দিয়ে দেন।"
"দৈত্যের কাছে থ্রি উইশের মত?"
"হ্যা। তবে দৈত্য মিথ্যা। আল্লাহ সত্য।"
বাচ্চাটা নামাজ পড়া ধরে। থ্রি উইশ কি চাইবে ঠিক করে। এক, অনেক দূর পর্যন্ত সে যেন দেখতে পায়। দুই, ধুম করে সে যেন দূরে চলে যেতে পারে। তৃতীয়টা কি এখনো ঠিক করে নি। সময় আছে। পরে করবে।
বড় হতে থাকে। ইবাদতের প্রভাব পড়ে।
সে বুঝে, দুনিয়াতে সবকিছু সল্পমেয়াদি, কিছু দিন পর চলে যাবে। আখিরাত স্থায়ী।
তাহলে অন্যের জন্য চাইবে? মানুষের উপকার করবে?
২
তার মধ্য বয়স।
এখন জানে, মানুষের উপর যত বিপদ আল্লাহ তায়ালা পাঠান, সব পাঠান কোনো কারনে।
কোথাও উনার কোনো ভুল নেই।
সব কিছু উনি জানেন এবং করছেন, উনি চাচ্ছেন বলে হচ্ছে।
কিছুই নেই যেটা বদলালে এর থেকে ভালো হতো।
অন্তর রবের প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠে।
৩
বার্ধক্যে।
থ্রী উইশ এখনো তার অন্তরে।
কিন্তু ছোটকালের চাওয়ার সাথে সেগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই।