ঈসা আ: এর কাছে এক লোক আসে।
"আমি আপনার সংগে থেকে শিখতে চাই"
"ঠিক আছে"
দুজন হেটে চলে। এক শহর। দুজনই কাহিল। রুটি তিনটা। দুজন দুটো খায়। একটা বাকি।
ঈসা আ: বলেন,
"তুমি এখানে বসো, আমি কাজ সেরে আসি"
ফিরে দেখেন শেষ রুটিটা নেই।
"কে খেলো?"
"জানি না"
দুজন হেটে চলে। নদী। পার হবে কিভাবে?
বলেন,
"আল্লাহর হুকুমে রাস্তা হয়ে যাও"
কাচের মত রাস্তা হযে যায়। দুজন পার হয়।
বলেন,
"যে অল্লাহ তোমাকে এই মুজেজা দেখালেন, তার নামে কসম করে এখন বলো, রুটিটা কে খেয়েছে?"
"জানি না।"
দুজন হেটে চলে।
একটা হরিন। তার দুই বাচ্চাকে নিয়ে আসছে।
ডাক দিলেন,
"কাছে আস"
একটি বাচ্চা কাছে আসে। জাবাই করেন। ভুনা করেন। খান। হাড় আর মাংশের দিকে তাকিয়ে বলেন,
"আল্লাহর হুকুমে জিন্দা হও"
হরিনের বাচ্চা জিবিত হয়ে মায়ের কাছে চলে যায়।
বলেন,
"যে আল্লাহ তোমাকে এত বড় মুজিজা দেখালেন, তার নামে শপথ করে বলো। রুটি কে খেয়েছে?"
"জানি না"
দুজনে হেটে চলে। মরুভুমি। বালি। কিছু বালি এক করে বলেন
"আল্লাহর হুকুমে স্বর্ন হয়ে যাও", হলো।
স্বর্ন তিন ভাগে ভাগ করেন
"এর এক ভাগ আমার। এক ভাগ তোমার। আর এক ভাগ ঐ লোকের যে রুটি খেয়েছে"
"রুটি কেউ খায় নি। আমার কাছে", রুটি বের করে দেখায়।
"তাহলে সমস্ত স্বর্নই তোমার।"
ঈসা আ: ঊঠে চলে যান।
লোকটি স্বর্নের কাছে বসে।
তিন চোর আসে। তাকে খুন করে স্বর্ন নিয়ে নেয়।
দুই চোর এক চোরকে পাঠায়
"তুমি এই স্বর্ন নিয়ে কিছু রুটি কিনে আনো"
বাকি দুই জন পরামর্শ করে
"রুটি কিনে ফিরলে, তাকে খুন করে সব আমাদের"
রুটি ক্রেতা বিষ মিশানো রুটি আনে, "ঐ দুজন মরলে, সব আমার।"
সেও মরে। রুটি খেয়ে বাকি দুজনও মরে।
ঈসা আ: ফিরছিলেন।
দেখেন তিন ভাগ স্বর্ন, চারটা মৃত দেহ।
বলেন, "এ হলো দুনিয়ার মোহ"