আত্মহত্যা:
১
ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর যদি কাউকে পাশ করাতে চান তবে, সামান্য কিছু উত্তর দিলেও তাকে বেশি বেশি মার্ক দিয়ে পাশ করিয়ে দেন অনেক সময়ে।
এমন কি ভুল উত্তর লিখলেও সেটাতে টিক দিয়ে পূর্ন মার্ক দিয়ে দিতে পারেন। মায়া করে, ছেলেটা ফেল করে যাচ্ছে বলে।
একেবারে খালি খাতা জমা দিলে?
তাও খাতার মাথায় ৩৩ দিয়ে পাশ করিয়ে দিতে পারেন। কেউ বাধা দেবার নেই।
কিন্তু যদি আমি এত আপসেট, এত হতাশ, এত রাগাহ্নিত হই, প্রশ্ন উনি কঠিন করেছেন বলে যে খাতা পরিক্ষা-হলে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে হল থেকে ধুম ধাম করে বেরিয়ে আসি। তবে উনি আমাকে পাশ করাবেন না।
যে মুহুর্তে কেউ আত্মহত্যা করলো সে মুহুর্তে সে যেন দুনিয়ার খাতা ছিড়ে টুকরো টুকরো করে বেরিয়ে গেলো। অথচ শুন্য খাতাতেও হয়তো আল্লাহ তায়ালা পাশ করিয়ে দিতেন।
২
"আমি কিভাবে মুখ দেখাবো?" - লজ্জায়।
"আমি মরবো কিন্তু তোরে ছাড়বো না" - রাগে।
"এটা না হলে আমার বাকি জীবন বেচে থাকার মানে নেই" - হতাশায়।
"এর থেকে আমি মরে শান্তি পেতে চাই" - কষ্টে।
অথচ ঐ গোলামকে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছিলেন শুধু উনার ইবাদত করার জন্য।
দুনিয়াতে জন্ম দিয়ে পাঠিয়েছিলেন শুধু ইবাদতের জন্য।
নামাজ-রোজা যদি সে বাকি জীবনটা করে যেতো তবে তার সৃষ্টির উদ্যেশ্য পূর্ন হতো। এবং এর জন্যই আল্লাহ তায়ালা তাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন।
কিন্তু সে তার কাজ শেষ না করেই, আনরিলেটেড কিছু ইশুর জন্য তার খাতা ছিড়ে হল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
৩
আত্মহত্যা কখনোই যাষ্টিফাইয়েবেল না। অনেক কিছুর জন্যই শরিয়তে এক্সেপশন আছে। কিন্তু আত্মহত্যা করার অনুমতি দিয়ে কোনো এক্সেপশন নেই।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের শেষটা উত্তমের উপর করেন।
আল্লাহ তায়ালা কোনো বান্দাকে তার সাধ্যাতিত কষ্টে ফেলেন না।
আমাদের রব!
আগের যুগের উম্মতের কঠিন ভার আমাদের দিবেন না,
এমন ভার দেবেন না, যেটা বহন করতে পারবো না।
মাফ করেন,
ক্ষমা করেন,
করুনা করেন,
আপনিই আমাদের মাওলা,
আর কাফিরদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করেন।