চীন-আমেরিকা:
৬০ থেকে ৮০ র দশকের সময়ে, মানে কোল্ড ওয়ারের যুগে রাশিয়া আর চীন ছিলো কমুনিষ্ট। কিন্তু দুটো ছিলো দু ধরনের কমুনিজম। এবং এই দু দেশের মাঝে শত্রুতা ছিলো।
আমেরিকার সবচেয়ে বড় শত্রু ছিলো সোভিয়েত রাশিয়া। যে কোনো সময়ে যুদ্ধ লাগতে পারে এরকম অবস্থা। আমেরিকা এটাও বুঝতো যে এই অবস্থায় চীনকেও যদি শত্রু বানায় তবে দুই বিশাল শক্তির বিরুদ্ধে সে কুলাতে পারবে না।
এই কারনে চীনের সাথে সে বন্ধুত্ব করেছিলো তাকে কোনো ট্যক্স ছাড়া আমেরিকাতে পন্য রপ্তানী করার সুযোগ করে দিয়ে। অর্থাৎ "তুমি যদি আমেরিকার সাথে লাগতে যাও তবে এই বিশাল বাজার তোমার হাতছাড়া হয়ে যাবে।"
চীন মেনে নিয়েছিলো। এবং এর সদ্ব্যবহার করে হয়ে দাড়িয়েছিলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় পন্য প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানীকারন দেশ।
তবে সিচুয়েশন এখন পূর্ন টার্ন নিয়েছে। আমেরিকার সাথে রাশিয়ার যত না শত্রুতা এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে চীনের সাথে এর থেকে বেশি শত্রুতা।
এক দেশ অন্য দেশকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। ফোর্স মুভমেন্ট আরম্ভ করেছে। কেউ ছাড় দিতে রাজি না।
মনে হচ্ছে আমেরিকার সাথে রাশিয়ার লাগার বদলে আগে চীনের সাথে লাগার সম্ভাবনা এখন বেশি।
Interestingly Samuel Huntington এর বিখ্যাত Clash of the civilization thesis এর উদাহরন উনি আরম্ভ করেছিলেন চীন-আমেরিকা যুদ্ধ দিয়ে। এটা প্রেজেন্ট করা হয়েছিলো ১৯৯০ এর দিকে কমুনিজম এর পতনের পর। এর পর বিশ্বের দন্ধ কি নিয়ে হবে সেটা তুলে ধরে।
- Comments:
- আমাদের এখানেও ১৭ ডিগ্রি।
.
.
প্লাস।