১
অনেকের ধারনা আমি যা বিশ্বাস করি তার উল্টো কথা বলি ফেসবুকে "নিরাপত্তার" জন্য। উহু, এরকম কখনো করি না। উল্টো কথা কখনো বললে সেটা বলি সার্কাজম, হাইপারবোল বা প্যরডি হিসাবে। যেটা স্পষ্ট থাকে।
নিরাপত্তার জন্য কিছু যদি করি: তবে কোনো ইশুতে চুপ থাকি নিজের মত না প্রকাশ করে। এর পরও যেটা সমর্থন করি না সেটার পক্ষে কখনো সরাসরি লিখি না। আর যা সমর্থন করি সেটার বিপক্ষে কখনো সরাসরি লিখি না।
২
অনলাইনে কখনো কোনো একটা বিষয়ের উপর extreme hatred তৈরি হয় যেটা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়। যেমন কেউ খারাপ, কিন্তু এত খারাপ না যত খারাপ সবাই তাকে মনে করছে। তখন এর পক্ষে লিখি। যেমন ইদানিং এক বান্দার পক্ষে কিছু পোষ্টে দিয়েছি। এর উদ্যেশ্য bar টাকে কিছুটা justifiable position এ নিয়ে আসা।
এ ধরনের পোষ্টগুলোর অর্থ এই না যে আমি তার বা কোনো দলের পক্ষে। বা আমি ছুপা স্টাইলে তার ওকালতি করছি।
৩
অনেকে বলেন, "ভাই এ দল বা ঐ আইডলজি নিয়ে আপনার বলার দরকার কি? চুপ থাকতে পারেন না?"
বলার দরকার হয় এই কারনে যেন এমনটা না হয় যে -- কেউ আমাকে ঐ দলের, বা আইডলজির পক্ষে বা বিপক্ষে ভেবে ভুল বুঝে অনেক দিন ফলো-ফ্রেন্ডশিপ করে এর পর হটাৎ একদিন শকড হয়ে আবিস্কার করে আমি আসলে এর বিপরিত মতের অনুসারি।
সে ক্ষেত্রে সে নিজেকে প্রতারিত মনে করবে। আর আমাকে মনে করবে প্রতারক টাইপের কেউ যে কিনা গোপনে এক বিশ্বাস লালন করে কিন্তু মুখে বলে অন্য কথা। শিয়া স্টাইলে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সত্যের উপর রাখুন।
- Comments:
- ঠিক, তবে সেলিব্রিতি হতে হলে ফেসবুকে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হয়। প্রতি পোষ্টে কমপক্ষে ১০০ লাইক। সে হিসাবে আমি সেলিব্রিতি তো দূরের কথা, "উদিয়মান" সেলিব্রিতিও না।
- ক্ষনজন্মা মানে যারা ৩০ বছরের মাথায় মারা যায়। আমি ৪০ পার করেছি অনেক আগেই।
- কেরাটের আরেকজন সমাদরকারী পাওয়া গেলো Appreciate (Y)
- কিছু না কিছু বিষয়ে সবসময় দ্বিমত থাকবে Haneef Mohammad
- দ্বিমতের ক্ষেত্রে তার বা ঐ দলের কি করা উচিৎ সে স্বিদ্ধান্ত দেযার দায়িত্ব আমার না। আমার কি করা উচিৎ সেটা শুধু বলেছি।
- সেলিব্রিতি হওয়াটা স্বিদ্ধান্তের ব্যপার। যোগ্যতার ব্যপার না। এটা যে কারো জন্য। সালমান মাহমুদ
- ব্যবস্থা পরিবর্তনের দায়িত্ব ঐ ব্যবস্থার উপর ক্ষমতাশিল ব্যক্তি বর্গের উপর। এই ক্ষেত্রে শাসকদের উপর। এবং তাদের এ জন্য জবাব দিতে হবে।
যার উপর আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমতাশিল করেন নি তার ব্যপারে আমাকে জবাব দিতে হবে না।
আমার দায়িত্ব এই ক্ষেত্রে তাদেরকে উপদেশ আর হক কথা বলার মাঝে শেষ। যেমন হাদিসে আছে।
That being said,
"ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন"কে "শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে" কিন্তু আন্দোলনকারীরাই নিয়ে যায়। "এই শাসক যত দিন আছে ততদিন ব্যবস্থা পরিবর্তন হবে না" এটা দাবি করে।