প্রসংগ ব্লাসফেমি:
"কিছু কথা আছে স্পষ্টতই ব্লাসফেমি। যেমন থাবা বাবা বা উনিশ বছর।
কিন্ত সমস্যা হলো সাকসেসফুলি একটা ব্লাসফেমি চার্জ সেটেল করার পর জনগন এত সেন্সেটিভ হয়ে থাকে যে যেগুলো ব্লাসফেমি না সেগুলোতেও তারা ব্লাসফেমি খুজে পায়।"
"যেমন?"
লোকটা সন্দেহের চোখে তাকালো আমি নাস্তিকদের পক্ষে ওকালতি করছি কিনা।
"যেমন মনে করেন পাকিস্তানে জুনায়েদ জামশেদ অথবা বর্তমানে ইন্দোনেশিয়াতে যা হচ্ছে।"
"এগুলো ব্লাসফেমি কিনা সেই স্বিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে কে বলছে?"
এবার আমার আতংকিত হবার পালা। উনি আবার আমার কথার মাঝে ব্লাসফেমি খুজে পান কিনা!
এই ক্ষেত্রে টেকনিক হলো হাইপোথেকিট্যেল এক্সট্রিমে চলে গিয়ে নেগেশন প্রুভ করা। তাই করলাম।
"যেমন মনে করেন কেউ বললো রাসুলুল্লাহ ﷺ মাটির তৈ.... কেউ কথাটাকে ব্লাসফেমি ধরবে কেউ ধরবে না। এই অবস্থায় জনগন কি করবে? কে স্বিদ্ধান্ত নেবে কোন কথাটা ব্লাসফেমি?"
"কেন ঐ কথাটা ঠিক, কোরআনে আছে...."
বলে উনি যে পক্ষে বিশ্বাস করেন ঐ পক্ষের দলিল দেয়া আরম্ভ করতে যাচ্ছেন। সমস্যা হলো দুই পক্ষের দলিল আমি যুগ যুগ ধরে শুনে আসছি। উনার কথায় নতুন কিছু জানার নেই।
কিন্তু আমার পয়েন্ট ছিলো দ্বিমুখি দলিলে মানুষ কি করবে সেটা। কোন দলিল উনি সঠিক মনে করছেন সেটা না।
But he is missing the point. প্রসংগে আসতে বললাম
"তাহলে বলছেন, কেউ যদি বলে উনি মাটির সৃষ্টি না, তাহলে ঐ লোককে ব্লাসফেমির দায়ে হত্যা করা যাবে?"
"এগুলোর সাথে ব্লাসফেমির সম্পর্ক নেই। এগুলো দলিল দিয়ে প্রমান...."
"তাহলে কে স্বিদ্ধান্ত নেবে কোন কথার সাথে ব্লাসফেমির সম্পর্ক আছে? কোনটার নেই? জনগন? আদালত? জনগন হলে কোন জনগন? দল হলে কোন দল?"
বলেই বুঝলাম কথাগুলো বেশি হাইলেভেলের হয়ে গিয়েছে।
উনি এখন সব ঝেড়ে ফেলবেন।
এবং তাই করলেন,
"দেখেন এত বেশি বুঝার দরকার নেই...."
বুঝলাম শুধুমাত্র আমার কথা আর সময় নষ্ট হলো।
কবে তোমার শিক্ষা হবে রে মন?